কুয়েট অধ্যাপকের মৃত্যুর জন্য দোষীদের বিচার দাবীতে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৬ পিএম, ৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:১৭ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের (৩৮) অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচারের দাবীতে তার গ্রামের বাড়ি বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে অধ্যাপকের ২০০০ সালের এসএসসির ব্যাচের সহপাঠী ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণ বাঁশগ্রাম বাজারে এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।
মানববন্ধনে ড. সেলিম হোসেনের ২০০০ সালের এসএসসির ব্যাচের বন্ধু ও ইউনাইটেড বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুপকুমার বলেন, সেলিম ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলো তার এই অকাল মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। তাকে মানসিক ভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। যারা তার মৃত্যুর জন্য দায়ী তাদের বিচারের দাবীতে এই মানববন্ধন। তিনি বলেন মানববন্ধনে ২০০০ সালের সেলিমের বন্ধুদের মধ্যে এসএসসির ব্যাচের আনিসুজ্জামান, সেলিম হোসেন, সোহেল রানাসহ অনেকেই উপস্থিত আছেন।
বাঁশগ্রাম ইউনাইটেড বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, সেলিম এই স্কুলে লেখাপড়া করেছে। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। তার অকাল মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। যারা তার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের বিচার দাবী করছি।
মানববন্ধনে ড. সেলিমের বাবা শুকুর আলী বলেন, ৫ ছেলে মেয়ের মধ্যে তার অত্যন্ত মেধাবী ছেলে সেলিম ২০১০ সালে কুয়েটে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ছেলেকে লেখাপড়া করানোর জন্য নিজের সর্বস্ব বিক্রি করে দেন। বর্তমানে ছেলের পাঠানো টাকায় তার সংসার চলতো। ২০১১ সালে তিনি স্ত্রীকে হারিয়েছেন। বর্তমানে তিনি শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। তার বুকে পেস মেকার লাগানো, কিডনিতে পাথর। তিনি আরো বলেন, তার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে তিনি মামলা করবেন। তার ছেলের ৬ বছর তিন মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তার কি হবে? তিনি তার ছেলের মৃত্যুর জন্য দোষীদের বিচারের দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবী করেন।
উল্লেখ্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সেলিম হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়টির লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বেও ছিলেন। ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরে গত মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে তিনি মারা যান। বুধবার সকাল ১০টায় গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামে তাঁকে দাফন করা হয়।