কুষ্টিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতা, ভাংচুর আহত- ৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৬ পিএম, ২৫ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:০৮ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার খোকসার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতান্ডার জের ধরে দফায় দফায় হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলা কারীরা এক মেম্বর প্রার্থীর বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার সন্ধায় জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া মোড়ে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের এক সমর্থক ও প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাকিব খান টিপুর সমর্থকদের মধ্যে বাক বিতান্ডা হয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা হয়।
নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক দাবি করেন প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে তার কর্মী মনিরুজ্জামান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ইতোমধ্যে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এ সময় খবির উদ্দিন ও মানিকুর জ্জামান নামের আরো দুই আহত হয়েছেন।
এ হামলার সূত্র ধরে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের পূর্ব গোপাল পুর গ্রামের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী সিরাজ সরদারের বাড়িতে প্রতি পক্ষ হামলা চালায়। হামলাকারীরা ওই প্রার্থীর বাড়ি ভাংচুর করে। প্রতিপক্ষের হামলায় সুজন মাহামুদ (২৬), সাইফুল ইসলাম (৩৫) সহ কমপক্ষে ৩ জন আহত হয়। সুজনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরীত করা হয়েছে।
নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক দাবি করেন, তার প্রতিপক্ষ সতন্ত্র প্রার্থী সাকিব খান টিপুর লোকেরা তার লোকদের উপর স্বসস্ত্র হামলা করে। তাদের ছোড়া গুলিতে তার এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছন। তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। প্রতিপক্ষ তাকে নির্বাচনী মাঠ ছাড়ার হুমকী দিয়েছে বলে তিনি জানান।
স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী সাকিব খান টিপু বলেন, নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রজ্জাক ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী চতুর প্রামানিকে লোকেরা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী সিরাজ সরদারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যপক ভাংচুর করেছে। বর্তমান চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান হামলার ঘটনা স্বীকার করেন। তবে কোন গুলা-গুলির ঘটনা ঘটেনি বলে জানান।