গাইবান্ধায় নির্বাচনের পরদিনই ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৫ পিএম, ১৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:০২ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আবদুর রউফ মিয়াকে (৪২) হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা।
গতকাল শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বামুনিরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুর রউফের বাড়ি ওই ইউনিয়নের মাগুড়াকুটি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত ফজলু হকের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার ইউপি নির্বাচনে আবদুর রউফ ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি লক্ষ্মীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১১টার দিকে আবদুর রউফ লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বামুনিরপাড়া এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন দুবৃর্ত্ত আবদুর রউফের পথ রোধ করে তাঁকে দেশি অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় আবদুর রউফের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুবৃর্ত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত ব্যক্তির লাশ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে এ ঘটনার পর গতকাল রাতেই উত্তেজিত জনতা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মাগুড়াকুটি গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে আরিফ মিয়ার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তাঁর ঘরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যায়। পরে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর থেকে আরিফ মিয়া গা ঢাকা দিয়েছেন।
গাইবান্ধা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুর রউফ জানান, ইউপি সদস্য হত্যার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
আজ সকালে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, ইউপি সদস্য আবদুর রউফ হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার নাম আরিফ মিয়া। তিনি লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মাগুড়াকুটি গ্রামের ছায়দার আলীর ছেলে, তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ইউপি সদস্য রউফ হত্যার বিচার ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ বেলা ১১টা থেকে গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।