ভাসানচরের পথে আরও ১২০০ রোহিঙ্গা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৪ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ১০:২৬ পিএম, ১২ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক প্রায় ১ হাজার ২০০ রোহিঙ্গাকে দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে।
আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে অন্তত ৩০টি বাস রওনা হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা নিয়ে ১৩টি বাস দ্বিতীয় দফা ভাসানচরে যাত্রা করেছে। তবে সেখানে কতজন নারী পুরুষ রয়েছে, সেটি এখন বলা যাচ্ছে না।
এদিকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এমরান হোসেন বলেন, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ ১ হাজার ২০০ রোহিঙ্গা ভাসানচর এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এই প্রক্রিয়া চলার মধ্যেই ঢাকায় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা স্থানান্তর নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বিরোধিতাকে অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেন।
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় থাকা ১২ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালী সংলগ্ন সাগরের দ্বীপ ভাসানচরে নেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম হয়ে নৌবাহিনীর জাহাজে করে প্রথম দলকে পাঠানোর পর আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমালোচনার মধ্যেই সোমবার দ্বিতীয় দলকে পাঠানো হল। বেলা ১২টায় উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রথম বহরে ১৩টি বাস রওনা হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। পরে রওনা হয় ১৭টি বাসের আরেকটি বহর।
স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতেই অনেক রোহিঙ্গাকে উখিয়ার কুতুপালং সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। আবার অনেককে সোমবার সকালে আনা হয়। রাতেই উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো করা হয় বেশ কিছু যাত্রীবাহী বাস।
প্রথমবারের মতোই এবারও রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র্যাব, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারা দেখা গেছে। প্রথম দফার মতো এবারও রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে হাতিয়ার ইউএনও এমরান বলেন, “কাল (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টা নাগাদ ১২শ রোহিঙ্গা ভাসানচর এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।