কুষ্টিয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ১০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৩২ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
কুষ্টিয়া-প্রাাগপুর সড়কের গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের (জিকে) প্রধান খালের ওপর ১৯৬২ সালে নির্মিত বেইলি সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এক যুগ আগে মেয়াদোত্তীর্ণের ঘোষণা দেয়া হলেও তা অপসারণ করে নতুন সেতু নির্মাণের কোনো উদ্যোগ এখনো নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
একদিকে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় যেমন যান চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে, অন্যদিকে পুরনো আদলের অপ্রশস্ত নির্মাণশৈলীর কারণে বর্তমানে অনেক যানবাহন এ সেতুর ওপর দিয়ে চলতে পারছে না। সেতুটিতে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে নানা দুর্ঘটনা। একই সঙ্গে যানবাহনের দীর্ঘ সারি প্রতিদিনই ভোগান্তির সৃষ্টি করছে হাজারো মানুষের।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্র জানায়, সেতুটি ১৯৬২ সালে নির্মাণ করা হয়। দৈর্ঘ্য ৬৩ দশমিক ৭৮৫ মিটার, প্রস্থ সাড়ে ১০ দশমিক ২৫ মিটার। ২০০৯ সালে সেতুটি মেয়াদোত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে সেতুটির এক অংশে ফাটল দেখা দেয়। এ সময় ফাটলের অংশটুকু জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়। ২০১৫ সালে সেতুর পূর্ব পাড়ে কংক্রিট ভেঙে গেলে কুষ্টিয়া সওজ বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত অংশটুকুর ওপর স্টিলের সরু বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়। সাময়িক সময়ের জন্য যান চলাচলের এ ব্যবস্থা করলেও এখন পর্যন্ত এভাবেই পড়ে রয়েছে সেতুটি।
সেতুর ওপর যানবাহন উঠলেই বিভিন্ন অংশ কেঁপে ওঠে। সরেজমিনে দেখা যায়, একদিকে অপ্রশস্ত, অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে যখন সেতু দিয়ে গাড়ি পার হয়, তখন অন্যপ্রান্তে যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকে। এছাড়া সড়ক থেকে সেতুর উচ্চতা অনেক বেশি। সেতুর দুই মুখে চার রাস্তার মোড় রয়েছে। এখানে উঠতে যানবাহন গুলোর গতি বাড়িয়ে দিতে হয়। ফলে তিনটি রাস্তার আসা যানবাহন মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ অবস্থায় প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে বলে জানান চালক ও ভুক্তভোগীরা।
ট্রাকচালক মোতালেব হোসেন বলেন, সেতুতে ওঠার সময় অতিরিক্ত কম্পন হয়। সেতুতে উঠতে গেলে মালবাহী গাড়ি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। একটু অসতর্ক হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটে।
ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান মিঠু বলেন, সেতুটি খুব তাড়াতাড়ি পুনর্নিমাণ করা প্রয়োজন।
কুষ্টিয়া সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিরুল ইসলাম বলেন, সেতুর প্রকল্প খুলনা জোন হয়ে সড়ক বিভাগে জমা দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সম্ভবত মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাইয়ে প্রথম লিস্টে এটি নেই। তবে লিস্টে ওঠানোর জোর চেষ্টা করা হচ্ছে।