ঝিনাইদহে ডায়রিয়ার প্রকোপ দুই দিনে হাসপাতালে ১৬০ রোগী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১২ এএম, ৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:১৩ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ঝিনাইদহ শহরের পৌর এলাকায় হঠাৎ করেই বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। গত দুই দিনে জেলা সদর হাসপাতালে দেড় শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।
সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যমতে, গত বুধবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৬০ জন রোগী। আর বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১১০ জন। যাদের অধিকাংশ রোগীর বাড়ি শহরের হামদহ, কাঞ্চনপুর, মোল্লাপাড়া এলাকায়।
আজ শুক্রবার সকালে সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, বেড কিংবা মেঝেতে পর্যন্ত নেই তিল ধারণের ঠাঁই। প্রতিনিয়ত হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে রোগী। আক্রান্তদের বেশিরভাগই নারী ও বয়স্ক।
আলহেরাপাড়া এলাকার জুয়েল নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘আমাদের পরিবারের তিনজন এই রোগে আক্রান্ত।’
খন্দকারপাড়া এলাকার সোনালী খাতুন বলেন, ‘হঠাৎ করে আমার মেয়ের পাতলা পায়খানা হয়েছে। তারপর আমার হাসবেন্ডের, এরপর আমার হয়েছে। আমরা তো টিউবওয়েলের পানি খাই। সাপ্লাই পানি দিয়ে গোসল আর রান্না করি।’
সোনালীর ভাষ্যমতে, তাদের প্রতিবেশীরাও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।
চৈতি নামের এক রোগী বলেন, ‘মাঝে মধ্যে স্যালাইনগুলো আমাদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। ওষুধও আমরা অনেক সময় পাচ্ছি না। নার্সরাও সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।’
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার বলেন, ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা আসছেন তারা বয়স্ক। শিশুরা কম আক্রান্ত হচ্ছে। পৌরসভার একটি এলাকা থেকে রোগী বেশি আসছে। বেশিসংখ্যক রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. জাকির হোসেন বলেন, রোগীরা বেশিরভাগই একটি নির্দিষ্ট এলাকার। এতে আমরা ধারণা করছি কোনো খাবার অথবা পানির মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘শিশু ডায়রিয়া আগের মতোই আছে, বয়স্ক মানুষের ডায়রিয়া হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা সব জায়গায় যোগাযোগ করেছি। আমাদের ওষুধ, স্যালাইন পর্যাপ্ত আছে। আমরা আশা করছি এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারব।’