দৌলতদিয়ায় ৮ শতাধিক যানবাহনের দীর্ঘ অপেক্ষা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৪ এএম, ২৯ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৫৭ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
পাটুরিয়ায় ফেরি ডুবে যাওয়ায় ও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটের গাড়ির চাপের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। এতে খাওয়া-দাওয়া ও টয়লেটের ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
সরেজমিনে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।
আরও দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারি পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় চার শতাধিক যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে। তবে অপেক্ষমাণ এসব যানবাহনের মধ্যে দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেশি। ফেরির নাগাল পেতে প্রতিটি পণ্যবাহী গাড়িকে ১৫ থেকে ১৭ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে যাত্রীবাহী বাস ও কাঁচামালের গাড়িকে তিন থেকে চার ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এছাড়া ঘাট এলাকায় চাপ কমাতে ঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে আরও ৪ কিলোমিটার এলাকায় ৪ শতাধিক অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ট্রাকগুলো গোয়ালন্দ মোড়ে এলে পুলিশ আটকে দিচ্ছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত বুধবার পাটুরিয়ায় আমানত শাহ ফেরিটি ডুবে যাওয়ায় পাটুরিয়ায় ৫নং ফেরিঘাট বন্ধ রয়েছে। এছাড়া উদ্ধার কার্যক্রম চলায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তে ৭টি ঘাটের মধ্যে ৩টি ঘাট চালু থাকায় ঘাট-সংকট রয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটের গাড়ির চাপও পড়েছে এখানে। কাভার্ডভ্যানের চালক সাত্তার মিয়া বলেন, ‘১৮ ঘন্টা হয়ে গেল ফেরির জন্য অপেক্ষা করছি। দিনের বেলায় সিরিয়াল মানলেও রাতেও হ য ব র ল অবস্থা হয়। অনেকে দালালদের টাকা দিয়ে আগে চলে যায়। আমরা টাকা দিতে পারি না। তাই এখনো অপেক্ষা করছি। কখন ফেরির নাগাল পাব, বলতে পারছি না।’
ফেরিঘাটের অব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনের নজরদারির অভাবে সারা বছরই ভোগান্তি লেগে থাকে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন বলেন, ‘দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। এর মধ্যে ৮টি বড় রো রো ফেরি, ৬টি ইউটিলিটি ও ২টি মাঝারি ফেরি চলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাত্রীবাহী বাস ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে।’