জয়পুরহাটের আদালতের ৪ কর্মচারী কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪৮ পিএম, ২৭ অক্টোবর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১২:২৬ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২৪
জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়ার ম্যজিষ্ট্রেট আদালতের প্রধান গেটে তালা লাগানো ও সরকারী ফাইল চুরীর পৃথক মামলায় ওই আদালতের নাজির, ড্রাইভার, ক্যশ সহকারী ৪জন কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শহরের সুগারমিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পরে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিষ্ট্রেট তৌফিকুল ইসলাম আগামী ৩১ শে অক্টোবর রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য্য করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন আদালতের নাজির জয়পুরহাট সদর উপজেলার রাঘবপুর গ্রামের মোবারক আলীর পুত্র জহুরুল ইসলাম (৪৩), ড্রাইভার চট্রগ্রাম জেলার হালি শহরের রাসেল ৩ে০), আদালতের ক্যাশ সহকারী শহরের মুসলিম নগর গ্রামের আব্দুল কাদের খন্দকার এর পুত্র কামরুজ্জামন (৪৩), আদালতের প্রসেস সার্ভার পাচবিবি উপজেলার আলতাব আলী পুত্র জাহাংগীর আলম (৩৯)।
মামলা ও আদালত সূত্র থেকে জানা যায় জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতের কর্মচারীরা আদালতের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে অন্যদের পথ রোধ করে সরকারী কাজে বাধা দেয়। সেখানে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে অফিসের কক্ষ থেকে কর্মচারীদের কাছে থাকা সরকারী গুরুত্বপূর্ণ ২০ টি নথি ও ফাইল চুরি করেন। এসব ফাইল এখনো উদ্ধার হয়নি। এসব অভিযোগ তুলে আদালতের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা কৃষ্ণ কুমার সরকার বাদী হয়ে এবছরের ৩ জুন ও ৯ ই জুন জয়পুরহাট সদর থানায় ৫ জনকে আসামী করে পৃথক দুটি মামলা করেন।
এরপর মঙ্গলবার ঐ মামলায় ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঐ মামলার আরেক আসামী বগুড়া জেলার সদর উপজেলার সবুজবাগ এলাকার হাফিজ মাস্টারের ছেলে সামছুল আরেফিন পলাতক রয়েছে।
জয়পুরহাট থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, পৃথক ২টি মামলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। আসামীদের আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তৌফিকুল ইসলাম আগামী ৩১ শে অক্টোবর রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য্য করেন।