সিলেটে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৯ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ০৫:৫০ পিএম, ৮ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সিলেটে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। বন্ধ পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে তিন দিনের ধর্মঘট শুরু করেছে বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ। এ সময় তাদের সাথে একাত্মতা জানিয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। সিলেটের সাথে সারাদেশের দূরপাল্লার গাড়ির সাথে সাথে চলাচল বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার যানবাহনের। হঠাৎ গাড়ি বন্ধের এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সাধারণ যাত্রীরা বলছেন, জনসাধারণকে পণবন্দি করে অযৌক্তিক দাবি আদায়ের চেষ্টা করছে পরিবহন শ্রমিকরা। দ্রুত এমন কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবিও তাদের। তবে ধর্মঘট আহ্বানকারীরা বলছেন, পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় সিলেটের ট্রাক মালিকরা গভীর সঙ্কটে পড়েছেন। এছাড়া জাফলং ও গোয়াইনঘাট সড়কে বাস-অটোরিকশার যাত্রীও অনেক কমে গেছে। ফলে সবাই ক্ষুব্ধ। তাই পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলনে সকল পরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা সম্পৃক্ত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার থেকে তিন দিন সিলেটে সব ধরনের পরিবহন বন্ধ থাকবে। এর আগে সোমবার পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে বিকেলে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। বৈঠকে জেলা প্রশাসক ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানালেও পরিবহন নেতারা তা মানেনি।
এদিকে সিএনজি অটোরিকশায় গ্রিল সংযোজনে পুলিশের নির্দেশনা প্রত্যাহারসহ ছয় দফা দাবিতে সিলেটে সোমবার থেকে ধর্মঘট পালন করছে অটোরিকশা শ্রমিকরা। ধর্মঘটের কারণে সোমবার সিলেটে বন্ধ ছিলো অটোরিকশা চলাচল। এই ধর্মঘট চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছনাকান্দি ও লোভছড়া এই পাঁচ কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বেলা) দায়ের করা একটি রিটের প্রেক্ষিতে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে সব ধরণের যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে উচ্চ আদালত। সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আন্দোলন করে আসছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। এবার তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন পরিবহন ব্যবসায়ীরাও। একাধিক বিক্ষোভ সমাবেশ করার পর মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছেন তারা।