সরিষাবাড়ীতে দিয়ার কৃষ্ণাই সেতু ও সংযোগ সড়ক ধ্বসে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩১ পিএম, ১২ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:০৩ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২৪
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পৌরসভার দিয়ারকৃষ্ণাই এলাকায় প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ টাকায় নির্মিত সেতু উদ্বোধনের পর বন্যায় সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে সেতু ধ্বসে পড়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী।
প্রায় সাড়ে তিন বছর যাবৎ সাতপোয়া ও বলারদিয়ার সড়কে নির্মিত সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ার সাথে সাথেই নিচ থেকে মাটি সরে দিয়ারকৃষ্ণাই সেতুটি ধ্বসে পড়লেও সংস্কার করেনি প্রশাসন। সেতুর উভর পাশের সাত গ্রামের প্রায় ৪০হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বলে জানাগেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর উপজেলার সাতপোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বালিয়া সেতু পর্যন্ত সড়কের দিয়ারকৃষ্ণাই গ্রামের গাঘদার খালের ওপর প্রায় ২৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করে। গত ২০১৭ ইং সালে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার এক বছর পরই বন্যায় সেতুর উভয় পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে সেতুটি ধ্বসে যায়।
পৌর এলাকার মাইজবাড়ি, সাতপোয়া, খাগুরিয়া, দিয়ারকৃষ্ণাই, চরবালিয়া, বলারদিয়ার, হাটবাড়ীসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। তবে রিক্সা, ভ্যান, অটোভ্যান, মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় নারী, শিশু, বৃদ্ধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, অসুস্থ্য রোগী, গর্ভবতী মহিলাদের চিকিৎসা সেবা নিতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলাকার মরিয়ম বেওয়া, তুষার আলী, আঃ কাদেরসহ অনেকেই জানান, গত সাড়ে তিন বছর ধরে চলচলের অযোগ্য সেতু আর সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় প্রায়ই এখানে দূর্ঘটনা ঘটছে। এলাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এই সড়কটি ব্যবহার করে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন। সাতপোয়া শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মনিষা,রুবেল, সবিতাসহ অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে স্কুলে যাইতে ভয় করে বলে জানান।
সাতপোয়া শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সারবিন নাহার বলেন, এই সড়ক ও সেতু দিয়ে বিদ্যালয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী পড়তে আসে। কিন্তু সেতু ও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় অনেকেই নিয়মিত স্কুলে আসতে চায়না।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হুমায়ূন কবীর বলেন, বন্যার কারণে ওই সড়ক আর সেতু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে এটি দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হবে। তখন আর মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ থাকবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপমা ফারিসা জানান, নতুন প্রকল্প এলেই সেতু ও এর সংযোগ সড়ক মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।