বগুড়ায় আওয়ামীগ নেতার বিরুদ্ধে মার্কেট দখল ও ব্যবসায়ীকে মারপিট ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৫ এএম, ২২ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ০৩:১৯ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বগুড়ার আওয়ামীলীগ নেতা ও বগুড়া জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান আকন্দের বিরুদ্ধে হামলা মারপিট লুটপাট হত্যা চেষ্টা এবং রেলওয়ের নতুন মার্কেট দখলের অভিযোগ তুলেছেন বিশিষ্ঠ ফল ব্যবসায়ী ও বগুড়া ফল ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্ঠা মুনসুর আলম।
আজ সোমবার বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মনসুর আলম বলেন, বগুড়ার ষ্টেশন রোড সংলগ্ন দক্ষিণে ১২টি দোকানের জন্য বিভিন্ন রশিদ মূলে মান্নান আকন্দকে মোট ৫৪ লাখ টাকা দেয়া হয়। পরে দোকান ঘরগুলো সংস্কারের জন্য আরও নগদ ৪ লাখ টাকা দেয়ার পর উল্লেখিত ১২টি দোকানের পজিশন বুঝিয়ে দেয়। পরে রেলওয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট মার্কেট, ফলপট্টি নতুন করে নির্মাণের পূর্বে ওই স্থানে আমি বাংলাদেশ রেলওয়ের থেকে লীজ মূলে বরাদ্দ পেয়ে সকল খাজনাদি পরিশোধ করে ভোগ করতে থাকি।
তিনি আরও বলেন, রেলওয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট মার্কেটের ওই ১২টি দোকান পাওয়ার পর থেকে আব্দুল মান্নান আকন্দ আমার দোকানগুলো বে-আইনিভাবে দখল করার জন্য হুমকি দেয়া শুরু করে। এই অবস্থায়, গত ৮ ডিসেম্বর, সন্ধ্যা ৬টার দিকে আব্দুল মান্নান আকন্দ, আব্দুস সামাদ মিঞা, মহিদুল ইসলাম, সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা ১৫জন আমার অনুপস্থিতিতে দোকান ঘরের তালা ভাংচুর করে বে’দেখল করার চেষ্টা করে। তখন আমি বগুড়ার সদর থানা পুলিশের সহায়তায় তাদের বেআইনি কাজ প্রতিরোধ করি।
মনসুর আলম লিখিত বক্তব্যে হত্যাচেষ্টা ও হুমকি দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২০ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় মান্নান আকন্দসহ অজ্ঞাতনাম ১৫জন ব্যক্তি আমার দোকানে এসে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। তারপর তাদের হাতে থাকা লাঠি, লোহার রড দিয়ে আমার শরীরে, মাথায়, বুকে এবং হাতে পায়ের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথারী মারপিট করতে থাকে। পরে আব্দুল মান্নান আকন্দ হত্যা করার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করতে গেলে আমি রক্তাক্ত জখম হই। পরে আমার হাতে-পায়ে আব্দুস সামাদ, মহিদুল ইসলাম এবং সোহাগ আমাকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে দোকানের বিভিন্ন ধরণের ১০০ কার্টুন ফল নষ্ট করে। যার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ টাকা। তখন আমার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে প্রাণে বেঁচে যাই এবং পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নেই।
এ ঘটনায় মুনসুর আলম অভিযোগ দায়ের করলেও তা রেকর্ড হয়নি। ছেন। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ক্ষুব্ধ হয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে মামলা রেকর্ড না করার অভিযোগ এনে পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপারে আল্টিমেটাম দেয়।
এ প্রসঙ্গে আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, 'মনসুর আলমের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন দ্বন্দ্ব নেই। ষ্টেশন রোডে সামাদ ফল ভান্ডারের সাথে মনসুর আলমের দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেটি মীমাংসা করার জন্য ওখানে যেয়ে আমি বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরি।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, মুনসুর আলম আব্দুল মান্নান আকন্দের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটির সত্যতা তদন্তের পর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।