সুনামগঞ্জে নিজ পুকুর থেকে নিখোঁজ গৃহবধুর লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৫ পিএম, ৫ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১১:০৪ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২৪
সুনামগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর নিজের স্বামীর পুকুর থেকে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত গৃহবধুর নাম- নাজমীন আক্তার (২৬)। তিনি জেলার ছাতক উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের কাটাশলা গ্রামের সুমন মিয়ার স্ত্রী।
গতকাল সোমবার (৪ অক্টোবর) রাতে ময়না তদন্তের জন্য গৃহবধুর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনার প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী সুমন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। আর এই ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রায় ১ বছর আগে জেলার ছাতক উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের লাকেশ্বর গ্রামের ছুরাব আলীর মেয়ে নাজমীন আক্তারের সাথে একই উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের কাটাশলা গ্রামের সমর আলীর ছেলে সুমন মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের ৯মাসের একটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু নানান বিষয়াদি নিয়ে বনিবনা না হওয়ার কারণে সব সময় পারিবারিক দ্বন্দ সংঘাত লেগে থাকতো।
একারণে গৃহবধু নাজমীন আক্তার তার ছেলেকে নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্ভর বাবার বাড়িতে চলে যায়। পরে ২ অক্টোবর শশুর সমর আলী তার বেয়াই ছুরাব আলীকে অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে তার নাতি ও পুত্রবধু নাজমীনকে আবার তার বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু ৩ অক্টোবর সকাল থেকে গৃহবধু নাজমীন আক্তারকে কোথাও খোঁজে পাওয়া যায়নি। সন্তান রেখে ওই গৃহবধু রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়।
এঘটনাটি জানতে পেরে গৃহবধু নাজমীন আক্তারের বাবা ছুরাব আলী চারদিকে অনেক খোঁজাখুজি করে তার মেয়েকে কোথাও না পেয়ে স্বামী সমুন মিয়া, শ্বশুর সমর আলী ও শ্বাশুড়ী দিলারা বেগমের বিরুদ্ধে ওইদিন রাতেই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এমতাবস্থায় গতকাল সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে স্বামী সুমন মিয়ার পুকুরে নিখোঁজ গৃহবধু নাজমীন আক্তারের লাশ পানিতে ভেসে উঠে। পরে এলাকার লোকজন থানা খবর দিলে ছাতক সার্কেল এএসপি বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুকুর থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করাসহ স্বামীকে আটক করা হয়। আর গৃহবধু নাজমীন আক্তারকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ভাই রিপন আলী।
আজ মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন বলেন- ময়না তদন্তের জন্য গৃহবধু নাজমীন আক্তারের মৃতদেহ এখনও মর্গে রয়েছে। আটককৃত স্বামী সুমন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছি। এঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর গৃহবধুর মৃতর আসল কারণ জানা যাবে। এরপর পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।