কটিয়াদীতে পিতাকে কুপিয়ে হত্যা করলো মাদকাসক্ত পুত্র
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ২ অক্টোবর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:০৬ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মাদকাসক্ত হৃদয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার পিতা টমটম চালক নিদান মিয়া (৫০)কে। ঘাতক পুত্র হৃদয়কে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
গতকাল শুক্রবার (১ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে কটিয়াদী পৌর এলাকার দড়ি-চরিয়াকোনা নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিদান মিয়া কটিয়াদী পৌরসভার দড়িচরিয়াকানা এলাকার কদমতলী নামক বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে নিদান মিয়ার বাড়ির দিকে ১০০/১৫০ গজ দূরে একটি ধান ক্ষেতের নিকট গেলে আগে থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে উৎপেতে থাকা পুত্র হৃদয় মিয়া এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তার পিতা নিদান মিয়াকে মারাত্মক ভাবে জখম করে, পরে সে ধারালো অস্ত্রটি ধানক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ সময় নিদান মিয়া গোঙানির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে মারাত্মক জখম অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘাতক হৃদয় বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাঁকে আটক করে কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
নিদান মিয়ার ছোট ভাই রতন মিয়া বলেন, হৃদয় মাদকের টাকার জন্য প্রায় সময়ই মা-বাবার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করতো। টাকা না দিতে পারলে বিভন্ন ধরনের অত্যাচরসহ বাড়ীর জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো এবং মা-বাবাকে মারধর করার ভয়ভীতি দেখাতো। আমার ভাই জমি বিক্রি করে একবার কিছু টাকা দিয়েছিলো।
কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম শাহাদত হোসেন জানান, আটকৃত হৃদয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পিতাকে হত্যার করা স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত নিদানের ছোট ভাই মো. রতন মিয়া বাদী হয়ে কটিয়াদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করেছে।