কুমিল্লার দক্ষিনাঞ্চল উন্নয়নে বিসিক শিল্প নগরীর বিকল্প নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৪ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ১০:৫৫ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
রাজধানীর নিকটবর্তী এলাকা হিসেবে কুমিল্লার দক্ষিনাঞ্চল এর ৫টি উপজেলায় প্রয়োজনীয় শিল্পায়নের অভাবে বর্তমানে হাজার হাজার কর্মহীন মানুষ জীবন-যাপন করছে। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৯ বছর পার হলেও এ অঞ্চলে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোন এর বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
ফলে এ অঞ্চলে বেকার যুবকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। লাকসাম শহরে সরকারী ভাবে গড়ে উঠা হাউজিং এষ্টেট বর্তমানে বানিজ্যিক নগরীতে পরিনত হলেও উপেক্ষিত রয়ে গেছে লাকসামে বিসিক শিল্প নগরী গড়ে তোলার দাবী।
বর্তমানে কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলের ৫টি উপজেলার ব্যবসা-বানিজ্যে নানা কারনে স্থবিরতা বিরাজ করছে। স্থানীয় ভাবে এখানে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়ায় বেকারত্বের পাশাপাশি দারিদ্রতাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি ভাবে লাকসামে বিসিক শিল্প নগরী স্থাপন ও স্থানীয় শিল্পোদ্যক্তারা আন্তরিক হলে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি জাতীয় উন্নয়নে এ অঞ্চল অবদান রাখবে বলে মনে করেন এলকাবাসী।
ভৌগলিক অবস্থানের কারনে দেশের বিভিন্ন স্থানের সাথে রেল,নৌ ও সড়ক যোগাযোগ, অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ, স্থানীয় কাঁচামালের অপার সম্ভার, আবাদি কৃষি জমিসহ নানা সুবিধার দিক দিয়ে এ অঞ্চলে শিল্প কারখানা গড়ে তোলার উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকলেও শিল্পকারখানা স্থাপনে উদ্যোগ একেবারে নেই।
স্বাধীনতার ৪৯ বছরে বিভিন্ন দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটালেও গুটি কয়েক ব্যাক্তি উদ্যোক্তা ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোন শিল্পকারখানা গড়ে উঠেনি। দক্ষিণ কুমিল্লার সুনামধন্য শিল্পদ্যোক্তা ভাইয়া গ্রুপ, শাহজালাল গ্রুপ, রূপসা গ্রুপ, লোটাস কামাল গ্রুপ, আজাদ গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, ফেবিয়ান গ্রুপ, আলানা গ্রুপ, ফেমাস গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, চৈতি গ্রুপ, মরহুম চাঁন মিয়া ও সুরুজ মিয়ার পরিবারসহ এ অঞ্চলের বিত্তশালী পরিবারগুলো একটু আন্তরিক হলে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে এলাকার প্রভুত উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
কৃষি প্রধান এলাকা হিসেবে বৃহত্তর লাকসাম উপজেলার নাঙ্গলকোট, লালমাই ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় কৃষি ও মৎস্য ভিত্তিক বিনিয়োগের চাহিদা ও ভৌগলিক অবস্থানের কারনে অল্প খরচে স্বল্প সময়ে ব্যাপক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব।