একসাথে দুই সন্তান হারিয়ে দিশেহারা পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৫ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ১১:৪৩ এএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
জয়পুরহাটে বাস-ট্রেন দুর্ঘটনায় একই পরিবারের দুইজনসহ মোট ১২ জন যাত্রী নিহতের ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
একই পরিবারের দুই সন্তানকে এক সাথে হারিয়ে দিশেহারা মা-বাবা। আর উপার্জনক্ষম স্বামীকে হারিয়ে নির্বাক স্ত্রী। এ ঘটনায় সুষ্ঠুতদন্তের দাবি এলাকাবাসীর। সন্তান হারিয়ে আর্তনাদ করেই যাচ্ছেন মা। এ কান্না, আর্তনাদ অনিশ্চয়তার। মা-বাবা কখনোই ভাবেননি সড়ক দুর্ঘটনায় একইসাথে কেড়ে নেবে আদরের দুই প্রিয় সম্পদ সন্তানকে। তাই সন্তান বিয়োগ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না মা-বাবা ও স্ত্রী।
সংসারের ছোট ছেলে আরিফুজ্জামানের প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হলোনা। এইচএসসি পাস করা আরিফুজ্জামান রাব্বিকে নিয়ে বুধবার রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে আসেন বড় ভাই বাবু। ভর্তি শেষে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) ট্রেনযোগে জয়পুরহাটে ফেরেন দুইভাই। ট্রেন স্টেশন থেকে বাসে করে বাড়ি ফেরার পথেই দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় তাদের প্রাণ। বাবা-মায়ের বুকে আর ফেরা ফেরা হলোনা তাদের।
আরিফের বাবা বলেন, ছেলে আমাকে বলেছিল সে ইঞ্জিনিয়ার হবে। তাই আমি নিজেও তাকে একবার ঢাকা নিয়ে গিয়েছিলাম। নিয়ে সব ঠিক করে রেখে এসেছিলাম। এর পর বড় ভাইসহ গিয়েছিল ভর্তি হতে। স্বামীকে হারিয়ে সন্তান নিয়ে পাগল প্রায় বাবুর স্ত্রীও। দুর্ঘটনায় কারো অবহেলা ছিল কিনা তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।
তারা বলেন, কোলেপিঠে করে ওদের বড় করেছি। তারা দু’জনই খুব ভালো ও মেধাবী ছেলে ছিলো। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারচাই। এর আগে ২০০৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জয়পুরহাটের কাশিয়াবাড়ি এলাকায় অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেন-ট্রাকের সংঘর্ষে প্রাণ যায় ১৩ জনের।