কুষ্টিয়ায় প্রতিবেশী দ্বারা ৩০ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার অসহায় পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৫ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:০০ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
কুষ্টিয়ায় প্রতিবেশীর দ্বারা ৩০ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে এক পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড এর নদীর কুল এলাকায়। ঘটনা সূত্রে জানা যায় হাঁসি বেগম স্বামী সন্তান নিয়ে দীর্ঘ দিন বসবাস করে আসছে নদীর কুল এলাকায় তবে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে প্রতিবেশী মৃত তফেল প্রামাণিক এর ছেলে তিজা ও মিজা প্রামাণিক ৩০ বছর যাবত নানাভাবে শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতন করে আসছে হাঁসি বেগমের পরিবারের উপর।
হাঁসি বেগমের পরিবারের উপর বেশ কয়েকবার হামলার ঘটনাও ঘটিয়েছে এই তিজা মিজার পরিবার। যার কারনে হাঁসি বেগমের একমাত্র ছেলে সবুজ এখন পঙ্গু। গত ২১-০২-২০২১ তারিখে তিজা ও মিজা ও তার ছেলে অনুসারীরা হাঁসি বেগমের ছেলের একমাত্র আয়ের উৎস সিট কাপড়ের দোকান পুড়িয়ে দেয় এতে হাঁসি বেগমের ১লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে নষ্ট হয়ে যাই তবে সেই ঘটনায় হাঁসি বেগম থানায় অভিযোগ জমা দিলে তার জের ধরে আবারও ২৪-০৩-২০২১ তারিখ রাতে হাঁসি বেগমের পরিবারের উপর হামলা চালায় তিজা মিজা গংরা, এতে হাঁসি বেগমের একমাত্র ছেলে সবুজ, পুত্রবধূ, মেয়ে, স্বামী সহ এক প্রতিবেশীকে মেরে গুরুতর জখম করে, এ ঘটনায় হাঁসি বেগম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া বিজ্ঞ আদালতে ১২ জনকে আসামী করে মামলার দায়ের করে যা এখনোও বিচারাধীন।
হামলার শিকার হাঁসি বেগম এবং স্বামী সন্তানের ক্ষত না শুকাতেই মামলা তুলে নিতে আবারও হামলার পরিকল্পনা করে তিজা মিজার পরিবার এমতাবস্থায় ২৮-০৭-২০২১ তারিখ দুপুরে হাঁসি বেগমের পরিবারের উপর আবারও হামলা করতে আসলে কোনরকম প্রাণে বাচতে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় হাঁসি বেগমের ছেলে সবুজ বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তবে বার বার হামলায় শিকার হয়ে জীবন জীবিকা নিয়ে শঙ্কিত হাঁসি বেগমের পরিবার এমতাবস্থায় বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে পরিবারটি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে বার বার ধর্না দিয়েও মেলেনি সুরাহা বরং নানা হুমকি ধামকি আর ভয় ভীতি প্রদর্শন করে আসছে আসামীপক্ষ। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ আর দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। আর্থিক দৈন্যতার মধ্যে দিয়ে চলা পরিবারটি একটি স্বাভাবিক ভাবে বাচতে চাই।
এ বিষয়ে হাঁসি বেগম বলেন আর কত নির্যাতনের শিকার হবো আমরা, এমন ভাবে চলতে থাকলে পালিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় থাকবে না। আমি আমার পরিবার নিরাপত্তা চাই।
এ বিষয়ে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম সম্পা মাহমুদ বলেন, এমন অভিযোগ পেয়েছি খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিজা প্রামাণিক এর সাথে মুঠোফোন কথা হলে তিনি বিষয়গুলো অস্বীকার করে এড়িয়ে যান। ভুক্ত ভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী আসামীদের দৃষ্টান্ত মূলত শাস্তি দাবী করেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম জানান, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।