নবাবগঞ্জে চোর সন্দেহে দুই নারীকে গণপিটুনি, নিহত ১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩২ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:০১ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে রুনা (২৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় পপি (২০) নামে অপর নারীকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের বলমন্তচর সেতুর ঢালে হযরত আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পপি ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ডহর মন্ডল গ্রামের মহরম আলীর মেয়ে ও নিজামুদ্দিনের স্ত্রী। নিহত রুনা একই উপজেলার বাসিন্দা।
স্থানীয় ও প্রলিশ সূত্রে জানায়, রোববার দুপুরে হয়রত আলী ও তার স্ত্রী জহুরা বেগম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে পৃথক দুই লাইনে দাঁড়িয়েছিল। এসময় মহিলাদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা জহুরার উপরে এসে পড়ে পেছনে থাকা ওই দুই নারী। এর কিছুক্ষণ পর জহুরা বুঝতে পারে তার গলায় স্বর্ণের চেইন নেই। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি সে তার স্বামীকে জানিয়ে ওই দুই নারীকে দেখিয়ে দিলে তার স্বামী ওই দুই নারীকে ধরে গাড়িতে করে তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে স্বর্ণের চেইন ফেরত চেয়ে তাদের গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধম মারপিট করে।
পরে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে তারাও ওই দুই নারীকে মারধর করে। গণপিটুনির এক পর্যায়ে একজন নারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। অন্যজনের অবস্থা খারাপ হলে তাকে দ্রুত নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন নবাবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম শেখ ও থানার অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মৃত্যুঞ্জয় কির্তনীয়া জানান, সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো প্রক্রিয়াধীন। নিহত ও আহত নারী একই এলাকার বাসিন্দা। নিহতের নাম জানা গেলেও বিস্তারিত জানা যায়নি।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম শেখ জানান, নিহত ও আহত ওই দুই নারী আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় প্রধান আসামি হয়রত আলী পলাতক রয়েছেন। তবে আরেক আসামি জহুরা বেগমকে আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এছাড়াও তারাসহ যারা এ মারপিটের সঙ্গে জড়িত তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় থানয় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।