নবাবগঞ্জে ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা, দুর্ভোগ চরমে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৬ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৪৮ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শিকারীপাড়া ইউনিয়নের নয়াডাঙ্গী হয়ে শেরপুর দিয়ে রানী বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়দের। পুরো রাস্তাই খানাখন্দে ভরা। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছর জুড়েই এ রাস্তায় ভোগান্তির অন্ত নেই, এ যেন নরক যন্ত্রনা।
সরজমিনে জানা যায়, সবশেষ প্রায় দুই যুগ আগে রাস্তায় মাটি ভরাট করে প্রশস্ত করা হয়। এরপর তেমন কোনো উল্লেখ্যযোগ্য সংস্কার কাজ চোখে পড়েনি। চলতি বছর বৃষ্টি মৌসমে কিছু কিছু স্থানে নামমাত্র ইটের খোঁয়া ফেলা হলেও মাহেন্দ্রা গাড়ি চলাচল করে ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে রাস্তায় চলাচলে আরও দুর্ভোগ বেড়েছে।
এলাকাবাসী জানান, এ অঞ্চলের জন্য রাস্তাটি খুবই গুরত্বপূর্ণ। প্রতিদিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী আসা যাওয়া করে রাস্তাটি দিয়ে। এ ছাড়াও হাট বাজারও বাণিজ্যিক কেন্দ্র বান্দুরা ও নবাবগঞ্জ সদরে যেতে হলে বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় বৃষ্টির মৌসূমে স্থানীয়দের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হালিম ক্ষোভের সাথে বলেন, বিনা ভোটে চেয়ারম্যান মেম্বার হইতে পারলে রাস্তা করার দরকার কি। চেয়ারম্যানের তো চোখ নাই রাস্তা করবো কেমনে?
একই এলাকার শেখ আলাউদ্দিন বলেন, জনপ্রতিনিধিরা বলে সরকার টাকা না দিলে কাজ করবো কেমনে। এ দেশের কোথাও এ রকম আর কোন রাস্তা নাই মনে হয়।
মমতাজ বেগম বলেন, রোগী নিয়া এ রাস্তায় যাওয়া যায় না। আমাদের দুঃখের শেষ নাই, কবে যে রাস্তা ভাল হইবো জানি না।
অঞ্জলী আক্তার বলেন, এ রাস্তার নাম শুনলে কোনো গাড়ি আসতে চায় না। হাটে বাজারে যেতে পারি না। রাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে বিদ্যুৎ অফিস থেকে কেউ আসতে চায় না। সারারাত অন্ধকারে থাকতে হয়। সবাই খালি কথা দেয়। আমার মনে হয় এ রাস্তা জীবনে আর ঠিক হবে না।
শিকারীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলীমোর রহমান খান পিয়ারা বলেন, এক সময় রাস্তাটি চলাচলে উপযুক্ত ছিলো না। কয়েক দফায় মাটি ভরাট করে কার্পেটিং এর উপযোগী করে প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু করবে।
উপজেলা প্রকৌশলী তরুণ কুমার বৈদ্য বলেন, রাস্তার প্রকল্পটি উপজেলা পরিষদে পাঠানো হয়েছে । রেজুলেশন করে খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে।