জয়পুরহাটে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে ভাগ্য বদলেছেন কৃষক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৪ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৪৪ পিএম, ২৬ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বিশ্বের সব দেশেই মৌসুমী ফল, মৌসুমী সবজী, মৌসুমী ফুল চাষ হয়ে থাকে। আলাদা আলাদা ভাবে দানাদার খাদ্যশস্যও রয়েছে। বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানীদেও কৃষি গবেষনায় মৌসুমী কথাটা এখন মলিন হয়ে যাচ্ছে। তারা শংকরায়ন, ট্যিশু কালচার বা জেনেটিক পরিবর্তন সহ নানা পদ্ধতি ও প্রযুক্তি প্রয়োগ করে শীতকালীন ফসলের গ্রীষ্মকালীন জাত উদ্ভাবন করেছেন।
আবার গ্রীষ্মকালীন ফসলের শীতকালীন জাত উদ্ভাবন করেছেন। যেমন টমেটোকে সব সময় শীতকালীন ফসল মনে করা হয় মানুষ সবসময় অপেক্ষা করে থাকত কবে শীতকাল আসবে আর টমেটোর স্বাদ গ্রহন করবো। কিন্তু বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা শীতকালীন এই টমেটো বারি হাইব্রীড-৮ জাতের টমেটো উদ্ভাবন করেছেন।
জয়পুরহাট জেলার সরেজমিন কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা জেলার সদরে উপজেলার মহরুল গ্রামে এই টমেটোর আবাদ করেছেন কৃষক মামুনুর রশীদ। তিনি জানান ১ বিঘা জমিতে বারি ৮- গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছেন, লাভও ভাল হয়েছে। শুধু ধান ও আলু আবাদ না করেও পাশাপাশী এই সবজি আবাদ করেও তিনি আশাতীত লাভ করেছেন।
আগামীতে তিনি আরও বেশী করে টমেটো চাষ করবেন বলে জানালেন। তার দেখাদেখি অন্যন্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছে বারী টমেটো চাষে। বগুড়া অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড: মো; শহিদুল আলম, জয়পুরহাট জেলার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রেসাবুল হক, আমিনুল ইসলাম এসও, তারা সহযোগীতা দিয়ে কৃষকদেরকে সার্বক্ষনিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। ড: শহিদুল আলম মাঠে গিয়ে এই প্রতিবেদককে জানালেন তার গবেষনা নিয়ে কথা।
কিভাবে বারি- ৮ টমেটা লাগাতে হবে। প্রথমে বীজতলায় এপ্রিল, জুন মাসে টমেটোর বীজ বুনে সেখান থেকে ৮-১০ দিনের চারা তুলে দ্বিতীয় বিজতলায় রোপন করতে হবে। সেখান থেকে ২৫- ৩০ দিনের চারা তুলে দোঁয়াশ মাটির জমিতে ৬০ সিন্টিমিটার দুরত্বে চারা লাগাতে হবে। জমিতে প্রতিশতাংশে ২০ কেজি গোবর ,৭৩০ গ্রাম টিএসপি, ৩৭০ গ্রাম এম,ওপি, ৩৮০ গ্রাম জিপসাম, ৫০ গ্রাম জিপ সালফেট,ও ৩০ গ্রাম বোরিক এসিড, প্রয়োগ করতে হবে। আর ৩ কিস্তিতে ২৭০ গ্রাম টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে।
বীজ বোনা থেকে টমেটো আহরন পর্যন্ত সময় লাগে ১০০ থেকে ১২০ দিন। প্রতিটি গাছে মাংশল ৪০ থেকে -৫০টি টমেটো ধরে প্রতিটির ওজন ৬০ থেকে -৬৫ গ্রাম, হেক্টরে ফলন হয় ৩৫ থেকে ৪০ মেট্রিক টন। এই টমেটোগুলো চেপ্টা ও গোলাকার। খেতে খুবই সুস্বাদু। গ্রীষ্মকালীন এই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ টমেটো আবাদ করে কৃষকরা বেশী লাভবান হতে পারে। বলে জানালেন ড: শহিদুল আলম।