কুষ্টিয়ায় বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর: যুবলীগ নেতাসহ আটক ৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৯ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২০ | আপডেট: ১০:১৮ এএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের পর বিপ্লবী বাঘাযতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
আজ শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) তানভীর আরাফাত তাঁর নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন।
তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমানসহ (৩৫) তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটক বাকি দুজন সবুজ হোসেন (২০) ও হৃদয় আহমেদ (২০)। এ ছাড়া বাচ্চু (৩২) নামের একজন পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো বলেন, আনিসুরের সঙ্গে কয়া মহাবিদ্যালয় (কলেজ) কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সহযোগীদের নিয়ে তিনি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে সড়কের পাশে স্থাপিত বাঘা যতীনের ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে বাঘা যতীনের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে কয়া কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা ছিলেন বাঘা যতীন। কয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একাই বাঘের সঙ্গে লড়াই করে বাঘ হত্যা করেছিলেন বলে বাঘা যতীন নামে পরিচিত পেয়েছিলেন। তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখতে গ্রামের কলেজের সামনে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেছিলেন।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ও দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।