ঠাকুরগাঁওয়ে জেঁকে বসেছে শীত : বাড়ছে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:৫৮ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ১১:৪৮ এএম, ১৩ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও এবং এর আশপাশের এলাকায় জেঁকে বসেছে শীত। দিনে সূর্যের খরতাপ আর রাতে পড়ছে ঘন কুয়াশা। মেঘলা আকাশে বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছে কুয়াশা। হঠাৎ চলে আসা এই ঠান্ডার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা। সপ্তাহখানেক ব্যবধানে ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২-২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১২-১৬ সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। তাপমাত্রা আরও কমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সন্ধ্যায় তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে শীতের দাপট। প্রতিদিন সকালেই দেখা মিলেছে ঘন কুয়াশার। এই কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। এদিকে শীতের দাপট বাড়ায় বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ এবং খেটে খাওয়া মানুষ।
সাধারণ মানুষ বলছেন, শীতের কারণে তারা বাসা থেকে বের হতে পারছেন না। ফলে খুব কষ্টে তাদের দিন পার হচ্ছে। এদিকে শীত আসতেই উড়তে থাকা কাঁচাবাজার নেমে এসেছে মাটিতে। পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও ক্রেতার অনুপস্থিতির কারণে হতাশ কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা।
শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে ফুটপাতের শীতের পুরনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন মধ্যম আয়ের মানুষেরা। তারা বলছেন, দাম নাগালের ভিতরে থাকায় ইচ্ছেমত সবার জন্য গরম কাপড় কিনতে পারছি। জেলায় আবহাওয়া অফিস নেই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন জানান, নভেম্বর মাসের শেষদিক থেকেই জেলায় আবহাওয়ায় ঠান্ডা ভাব বিরাজ করে। উত্তরের হাওয়া না বইলেও ঝিরঝির বৃষ্টি শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়। ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক কে. এম. কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে পাঁচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ২৫ হাজার কম্বল বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আরও কম্বলের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল সূত্রে জানায়, ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে প্রতিদিনই অসংখ্য রোগী হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাই বেশি।