মৃত্যুর একযুগ পর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেল বীরঙ্গনা গুরুদাসী মন্ডল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৫ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ১১:৪২ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় পাকবাহিনীর হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন গুরুদাসী মন্ডল ও তার পরিবার। তার বাড়ী খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটির বারোআড়িয়া গ্রামে। স্বামী গুরু পদ মন্ডল পেশায় ছিলেন একজন দর্জি। ঘটনার দিন তার চোখের সামনে স্বামী, দু’ছেলে ও এক মেয়েকে গুলি করে হত্যা করে পাকহানাদার বাহিনী। এতে গুরুদাসী প্রাণে বেঁচে থাকলেও মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।
বীরঙ্গনা গুরুদাসী মানবেতার জীবনযাপনের একপর্যায়ে ২০০৮ সালের ৮ ডিসেম্বর কপিলমুনিস্থ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুর প্রায় এক যুগ পর অবশেষে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন বীরঙ্গনা গুরুদাসী মন্ডল। এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি ও বিভিন্ন সময় জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে ব্যাপক লেখালেখির প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৭০ তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গত ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে বীরাঙ্গনা হিসেবে গেজেটভুক্ত করা হয়।
এদিন গুরুদাসী মন্ডল সহ আরো ৬১ জন নারীকে বিরঙ্গনা হিসেবে তালিকাভূক্ত করে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে সরকারের তালিকায় বীরাঙ্গনার সংখ্যা চার শ’ জনে উন্নীত হলো।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ ও বীরাঙ্গনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের যথাযথ স্বীকৃতি ও মর্যদা নিশ্চিত করতে চায়। এখন থেকে তারা ও তাদের পরিবার রাষ্ট্রীয় সকল সম্মান ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন।