শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ শেষ হয়নি দুই দশকেও
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ০৮:০২ এএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
শরীয়তপুর জেলায় অর্থ বরাদ্ধ থাকা সত্বেও ২০ বছরে শেষ হয়নি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভের কাজ।
বর্তমানে স্মৃতিস্তম্ভের কাজ থেমে থাকায় নষ্ট হচ্ছে এর ভিত্তি প্রস্তর ও পরিবেশ। এতে শরীয়তপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবী সরকার নজরদারীর মাধ্যমে অবিলম্বে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ফলক সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান কাজ শেষ করা হোক।
গণপূর্ত বিভাগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সূত্রে জানা যাই, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বাউন্ডারির ভিতরে শরীয়তপুর গনপূর্ত প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০০২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি প্রকল্পের আওতায় ১১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে শরীয়তপুর জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নাম সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাহবুবুর রহমান ভূইয়া সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে এ কাজ শুরু করে। ৮ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয়ে পুরো কাজের প্রায় ৫৫ ভাগ কাজ শেষ হতে না হতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
এরপর সরকার পরিবর্তন হওয়ায় নুতন করে এ প্রকল্পের জন্য কোন অর্থ বরাদ্ধ না দেয়ায় দীর্ঘ ২০ বছরেও এ নির্মাণ কাজটি শেষ করা সম্ভব হয়নি।
গনপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সালেহ মোঃ ফিরোজ বলেছেন স্মৃতিস্তম্ভের কাজ ২০০২ সালে শুরু হয়েছিল। কিছুদিন কাজ চলার পর বরাদ্ধের অভাবে ঐ কাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং ঐ প্রকল্পের মেয়াদ ও শেষ হয়ে যায়। পরে বরাদ্ধ ও মেয়াদ আর বাড়ানো হয়নি। অথচ বাংলাদেশের ৬৩টি জেলাতেই মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করা হয়েছে।
এব্যাপারে শরীয়তপুর সদর উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডর বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ আজিজ সিকদার বলেন, সারা বাংলাদেশের সব জেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভ আছে। আমাদের জেলার কাজটি শুরু করে মাঝ পথে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ ২০ বছরে ও শেষ হয়নি। আমরা চাই জরুরী ভিত্তিতে এ কাজটি সম্পন্ন করা হোক।