ফরিদগঞ্জ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৩ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ০৯:৫১ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. মাহফুজুল হকের বিরুদ্ধে স্ত্রী ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার।
আজ সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে মেয়র মাহফুজুল হকের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সোনিয়া আক্তার জানান, প্রায় ১০ বছর আগে মাহফুজুল হকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে তিনটি সন্তান রয়েছে। পাঁচ বছর আগে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন মাহফুজুল। এরপরই তার চারিত্রিক পরিবর্তন শুরু হয়। নেশা, নারী সহ বিভিন্ন রকম অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। একাধিক নারীর সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, ঐ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তার ওপর নির্যাতন চালাতেন মেয়র মাহফুজুল।
কয়েক মাস আগে সোনিয়াকে কিছু না জানিয়ে কুমিল্লায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে সোনিয়াকে মারধোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এ ছাড়াও সোনিয়ার বোনের জামাইয়ের কাছ থেকে ঠিকাদারী ও ব্যবসার কথা বলে সাত লাখ ৭০ হাজার টাকা ধার নেন মাহফুজুল। ধারের সেই টাকা চাইলেও নির্যাতন সহ্য করতে হতো সোনিয়াকে।
সংবাদ সম্মেলনে সোনিয়া আক্তার তিন সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন। তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে পাল্টা অভিযোগ তুলে মেয়র মাহফুজ বলেন, আমার প্রথম স্ত্রী সোনিয়া আমার সঙ্গে বিয়ের পর থেকে প্রতারণা করে আসছে। আমি বিয়ের দেড় মাস পর জানতে পারি সে এর আগেও দুইটি বিয়ে করেন। এ অবস্থায় আমি তাকে মেনে নিয়ে ১০ বছর ধরে সংসার করে আসছি।
তিনি আরও বলেন, সামনে পৌর নির্বাচন। আমি মনে করি, সে আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের সহায়তায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। গত ২২ নভেম্বর আমি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আমার স্ত্রীর দ্বারা বার বার নির্যাতনের শিকার হয়ে আসার চিত্র তুলে ধরেছি।