মহেশপুর সীমান্তে অবৈধ পারাপারে লিপ্ত দালালরা অধরা কেন?
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩১ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:০৩ এএম, ২৯ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পারাপারা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ সীমান্তের গ্রামগুলোতে জড়ো হচ্ছে। ওপার থেকেও বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য আসছে মানুষ। কিন্তু সীমান্তের দালালরা অধরা। তারা এপার ওপার বাংলায় খুবই শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। ঘাটে ঘাটে টাকা দিয়ে তারা মানুষ পারাপারে নিয়োজিত থাকলেও পুলিশ বা বিজিবি তাদের বেশির ভাগ সদস্যকে গ্রেফতার করতে পারছে না। এদিকে প্রায় প্রতিদিন অবৈধ পথে যেমন বাংলাদেশ থেকে ওপারে যাচ্ছে, তেমনি ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে।
আজ শনিবার বিজিবির এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে চারজন এবং অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ৬ জনসহ মোট ১০ জনকে আটক করার কথা জানিয়েছে। সকালে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে সীমান্তের কানাইডাংগা গ্রাম থেকে ২ জন পুরুষ ও ২ জন নারীকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের সন্তোষ মন্ডল (৫১), মাদারীপুরের কালকিনী উপজেলার নবক গ্রামের শ্রী কোমলেশ ব্যাপারী (৩৬), গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোষের চর দক্ষিনপাড়া গ্রামের মোছা. রাবেয়া বেগম (৩২) ও শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার থাকাচুয়া গ্রামের আকলিমা বেগম (৩২)। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের সময় দুই জন পুরুষ, দুই জন নারী ও দুই শিশুসহ মোট ৬ জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন যশোর কশেবপুর উপজেলার চাদড়া গ্রামের রেজাউল ইসলাম (২৭), তার স্ত্রী মোছা. লিপি বেগম (২৭), মেয়ে মোছা সুরাইয়া খাতুন (১১), ছেলে মো. ইসরাফিল (৪) এবং সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা তামুন্দিয়া গ্রামের মোছা. ফুলসুরাত বেগম (৬৫) ও তার ছেলে মো. কবিরুল ইসলাম (৩২)। বিষয়টি নিশ্চিত করে ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান জানান, বিওপি সদস্যরা পৃথক অভিযান চালিয়ে সীমান্ত এলাকা থেকে নারী, শিশু ও পরুষসহ ১০ জনকে আটক করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দিয়ে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।