সাতকানিয়ায় আমজাদ হোসেন চেয়ারম্যান হত্যায় ১০ জনের ফাঁসি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৫ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ০৬:৩৮ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
দীর্ঘ ২২ বছর আগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর আমজাদ হোসেন চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় ১০ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে আরও পাঁচ আসামির। বেকসুর খালাস দেয়া হয় চারজনকে।
আজ রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম মোজাম্মেল হক এ রায় ঘোষণা করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী এসইউএম নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন সাতকানিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেজামুদ্দিন, মানিক, তারেক, ফরোখ আহমদ, বসির আহমেদ, ইদ্রীস, জাহেদ, রাসেদ, জিল্লুর রহমান ও জসিমউদ্দিন। এদের বাড়ি সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া এলাকায়। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন রফিক, মোর্শেদ, হারুন, আয়ুব ও ইদ্রিস। খালাস পেয়েছেন আবু তাহের, আবদুল মালেক, খায়ের আহমেদ, মোস্তাক আহমেদ।
আমজাদ হোসেনের স্ত্রী ও মামলার বাদী সৈয়দা রওশন আক্তার বলেন, স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে ২১ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড পেয়ে আমি আনন্দিত। আমি আর কিছু চাই না।
১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর সাতকানিয়া মির্জারখিল দরবার শরিফের সামনে সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
আমজাদ হোসেন স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার কামাল বলেন, সাতকানিয়া উপজেলার ১৭ নম্বর সোনাকানিয়া ইউনিয়নের দুইবারের চেয়ারম্যান ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন। তিনি ইউনিয়নের অপরাধ নির্মূল ও সন্ত্রাস দমনে প্রতিবাদী ভূমিকা রাখার ফলে দুর্বৃত্তদের টার্গেটে পরিণত হন।
সারওয়ার কামাল বলেন, ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর রাতে মির্জারখিল দরবার শরিফে ওরশ চলাকালীন দরবার শরিফের উত্তর গেট সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে আমজাদ হোসেনকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রওশন আকতার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে সাতকানিয়া থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে সিআইডি পুলিশের হাতে তদন্তের ভার ন্যস্ত হয়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি পুলিশ ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর এ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। চলতি বছরের ১১ নভেম্বর এই মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। ওই দিনই ১০ আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় মোট ২০ আসামির মধ্যে এক নম্বর আসামি মারা গেছেন। বাকিদের মধ্যে ১০ জনের ফাঁসি, পাঁচজনের যাবজ্জীবন এবং চারজন খালাস পেলেন। আসামিদের মধ্যে নয়জন পলাতক।