দৌলতপুরে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১১ পিএম, ৩০ আগস্ট,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:১৯ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আনজিরা খাতুন (৩৫) নামে এক বিধবা নারী নিখোঁজ হলে তৃতীয় দিনে তার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
গতকাল রবিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও এলাকাবাসী।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন ধর্মদহ পূর্বপাড়া গ্রামের পাশে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসলে নেমে ওই নারী পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। উদ্ধার হওয়া মৃত নারী একই গ্রামের আকালী কারিগরের মেয়ে এবং ভেড়ামারা কুচিয়ামোড়া গ্রামের মৃত আনারুল ইসলামের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, আনজিরা খাতুন মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নদীর প্রবল স্রোতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দল ও এলাকাবাসী নদীতে তল্লাশী চালিয়ে তার সন্ধান মিলাতে পারেনি। পরদিন শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা থেকে আসা ডুবুরি দল মাথাভঙ্গা নদীতে তল্লাশী চালিয়ে নিখোঁজ নারীর সন্ধান না পেয়ে তারাও উদ্ধার অভিযান শেষ করে।
পরে গতকাল সকালে ওই নারীর মরদেহ নদীর কিনারে ভেষে উঠে জঙ্গলে আটকিয়ে থাকলে স্থানীয়রা তা দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী নিখোঁজ নারীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, ৩ বছর আগে আনজিরা খাতুনের স্বামী আনারুল ইসলাম মারা গেলে তার ৩ সন্তানসহ তাকে ধর্মদহ পূর্বপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন বাবা আকালী কারিগর। দরিদ্র ও দিনমজুর হওয়ায় বাবার বাড়ি থেকে কষ্টে ৩ সন্তানকে লালন পালন করছিল আনজিরা খাতুন।