সরিষাবাড়ীতে শিশুয়া-বাঘমারা ব্রীজের সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন : লক্ষাধিক মানুষের দূর্ভোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২১ পিএম, ২৭ আগস্ট,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:২২ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
জামালপুরের সরিষাবাড়ীর উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের ঝারকাটা নদীর উপর ১৮০ মিটার দীর্ঘ শিশুয়া-বাঘমারা ব্রীজটির সংযোগ সড়ক রক্ষনাবেক্ষণের গাফিলতির কারনে ধ্বসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ব্রীজের সংযোগ সড়কের দু‘পাশ ভেঙে যাওয়ার কারনে দফায় দফায় অর্থ বরাদ্ধ করা হলেও কাজের কাজ কিছুই করা হয়নি। অবশেষে ব্রীজের পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়ায় সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে দূর্ভোগে পড়েছে প্রায় ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। এছাড়া সংযোগ সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এবং পিলারের নীচের মাটি ধ্বসে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে পুরো ব্রীজটি। গত ২০০৬ইং সালে বিএনপি সরকারের সময় ঝারকাটা নদীর উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ১৮০ মিটার দীর্ঘ জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটি নির্মিত হয়েছিল। জরুরী ভিত্তিতে সংযোগ সড়কটি সংস্কার করে ব্রীজটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলা সদরের সাথে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও পাশের উপজেলা কাজিপুর, বগুড়া এবং মাদারগঞ্জে বেশ কয়েকটি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে চর শিশুয়া-বাঘমারা ব্রীজটি অতীব গুরত্বপূর্ণ। ঝারকাটা ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত এই ব্রীজের পশ্চিম পাশের অরক্ষিত সংযোগ সড়কটি গত বুধবার ভারী বর্ষনে ধ্বসে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধির পাওয়ায় কারনে সংযোগ সড়কের মাটি এবং পিলারের গোড়ার মাটি সরে গিয়ে ব্রীজটি হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানাগেছে। ব্রীজের সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের সবকটি গ্রামসহ পাশের মাদারগঞ্জ উপজেলা, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সিরাজগঞ্জের কাজিপুরসহ প্রায় ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দূর্ভোগে পড়েছে। এক বছর আগেও ব্রীজের পশ্চিমের ভূগর্ভস্থ অংশটি তার নিচু অংশ থেকে ভেঙে পড়েছিল। যার কারণে উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী’র কার্যালয় সূত্রে আরও জানাযায়, সেই সময় সেতুটি সংস্কারের জন্য ৮ লক্ষ টাকা জরুরী ভিত্তিতে বরাদ্ধ করা হয়। বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে অপরিকল্পিত ভাবে সামান্য বালির বস্তা ও কাঠের খুটি দিয়ে দায়সারা ভাবে চলাচলের উপযোগী করা হয়। কিন্তু কয়েকদিন পরেই আবারও ভেঙ্গে যাওয়ায় অটোরিক্সাসহ হালকা যানবাহন চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে দাড়ায়।
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্রীজের সংযোগ সড়কটি সংস্কারের জন্য এলজিইডি‘র নিকট একটি বেইলি ব্রিজ স্থাপন করার দাবী জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী রকিবুল হাসান বলেন, ব্রীজের সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। এটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।