সরিষাবাড়ীতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৫ পিএম, ২৪ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৩৭ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এক কন্যা সন্তানের জননী ৪মাসের অন্তঃসত্ত্বা শিল্পী আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবার হত্যার অভিযোগ করেছে কিন্তু নিহতের স্বামী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন বলে দাবি করেছেন। তবে মৃতের পরিবার শিল্পী আক্তারের শরীরে আঘাত ও বৈদ্যুতিক ছেঁকার চিহ্ন রয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান।
গত রোববার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসি মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী এবং নিহতের পরিবার সূত্রে জানাগেছে, সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসি মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত শাজাহান আলীর পুত্র ইলেকট্রিক মিস্ত্রি শওকত আলীর (৩৭) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাউসী গজারিয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের কন্যা শিল্পী আক্তারের (২৫) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ২০১৩ সালে কোর্ট মেরেজের মাধ্যমে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটে। তাদের মাঝে বেশ কয়েক বার বিবাহ বিচ্ছেদ, পূনরায় বিয়ে কাবিনের ঘটনা ঘটে।
এরই মধ্যে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কন্যা রোজা আক্তারের বয়স সাড়ে চার বছর বলে জানাগেছে। শিল্পী আক্তার আবারও ৪মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহের একপর্যায়ে রোববার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই শিল্পী আক্তার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন বলে তার স্বামী শওকত আলী এলাকায় প্রচার করেন। ঘটনার সংবাদপেয়ে সরিষাবাড়ী থানার পুলিশ রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
প্রতিবেশী কালাম মিয়া জানান, ওদের বিয়ের পর হতে সব সময় ঝগড়া ঝাটি লেগে থাকতো। গত ২০১৯ইং সালে দুজনের বিবাহবিচ্ছেদ হয় এবং দায়েরকৃত মামলায় শওকত আলীকে হাজত বাস করার পর জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারও শিল্পী আক্তারকে বিয়ে করেন। বারবার বিয়ে তালাক বিয়ে করেও তাদের মধ্যে সম্পর্ক কোন দিনই ভাল ছিলনা বলে তিনি জানান।
নিহতের ছোটবোন শিফা আক্তার জানান, বোনকে প্রায়ই নির্যাতন করে দুলাভাই (শওকত আলী) বাড়ি পাঠিয়ে দিতো। মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক বলে দাবি করে তিনি এর বিচার চান।
নিহতের পিতা খলিলুর রহমান বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
সরিষাবাড়ী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর একটি মামলা হয়েছে। সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহটি শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।