কুষ্টিয়ায় সালিশ বৈঠকে ছুরিকাঘাতে বৃদ্ধ খুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৯ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৫৭ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সালিশ বৈঠক চলাকালীন সময়ে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে মোক্তার প্রামাণিক (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এসময় নিহতের চাচাতো ভাই হোসেন আলী মাষ্টার নামের আরো একজন আহত হয়েছেন।
গতকাল বুধবার (১৮ আগস্ট) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার চর সাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর হঠাৎপাড়া তজিরুননেছা জামে মসজিদ এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
আহত হোসেন আলী মাষ্টারকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা দুজনই হঠাৎপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরের দিকে তজিরুননেছা জামে মসজিদ এলাকার হেলাল উদ্দিনের প্রতিবন্ধী স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করার অভিযোগ ওঠে নিহতের বোন জামায় এর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দুপুরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় সালিশী বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
এরপর সন্ধ্যায় হেলালের বাড়িতে সালিশ বসানো হয়। মোক্তার প্রামাণিক ৮-১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠকে হাজির হয়। কিন্তু অভিযুক্ত বোন জামায় সালিশ বৈঠকে উপস্থিত না থাকায় হেলালের লোকজন তাঁদের উপর হামলা চালায়। এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে মোক্তার প্রামাণিক ও তার চাচাতো ভাই হোসেন আলী মাস্টার গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোক্তার প্রামাণিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে আহত হোসেন আলী মাষ্টারের ছেলে সাখাওয়াত মুঠোফোনে জানান, আমার চাচাতো ফুফা এক মহিলার ঘরে প্রবেশ করেছিলেন এমন অভিযোগে সন্ধ্যায় হেলালের বাড়িতে সালিশ বৈঠক চলাকালে আমার ফুফাকে হাজির না করায় ওরা হামলা চালায়। এ সময় আমার চাচা মোক্তার প্রামাণিক ও বাবা হোসেন আলী মাষ্টার ছুরিকাঘাতে আহত হন। দুজনকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চাচাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাবা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চর সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন জানান, মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠক চলাকালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সালিশ বৈঠক চলাকালে ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তদন্ত শুরু করেছে।