আগুনে বউ ভাতের আনন্দ মুহূর্তেই রূপ নিলো বিষাদে

গত রোববার বিয়ে শেষে বাড়িতে এসেছে নববধূ। রাতেই সেই বাড়িতে অগ্নিকান্ডে আটটি বসতঘর পুড়ে গেছে। মুহূর্তেই আগুনে বউভাতের আনন্দ মুহূর্তেই রূপ নিলো বিষাদে। স্থগিত হয়ে গেলো বউভাতের অনুষ্ঠান।

আজ সোমবার ভোরে চরহাজারী ১ নং ওয়ার্ডে মাইলয়ালা বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে মো. আবদুর রব, মো. বাচ্চু, মো. মুসা মিয়া, পরানী বেগম, নুর আলম, মোস্তফা সবুজ, মো. রবিন ও মো. সোহেলের ঘর পুড়ে গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জামিন মিয়া।

তিনি বলেন, আজ ভোরে এ  খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি।

চরহাজারী ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ছোটন বলেন, এই বাড়িতে আজকে বৌভাতের অনুষ্ঠিত ছিল। তাই রান্না ঘরের চুলা চালু ছিল। ভোর ৫ টার দিকে হঠাৎ করে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে সবাই চিৎকার শুরু করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।

এদিকে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি ৭ পরিবারকে নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

এবিষয়ে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, দিনটা শুরু হলো দুঃসংবাদে, ঘুম থেকে উঠেই জানতে পারি চরহাজারী ১ নং ওয়ার্ডে মাইলয়ালা বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে একসাথে ৭ পরিবারের ঘর পুড়ে যায়। অন্যদিকে চরহাজারী ২ নং ওয়ার্ডের মিলনের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের ৪টি ঘর পুড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়ানোই মানবিকতা। আমাদের মানবিক হতে হবে। সমালোচনা করা সহজ কিন্তু বর্তমানে মানবিক হওয়া কঠিন। তাই কালক্ষেপণ না করেই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে যাই। প্রাথমিক ভাবে ৭ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে সাড়ে ৪ লাখ টাকা তুলে দিয়েছি। এছাড়াও জেলা প্রশাসন বরাবর সাহায্যের দরখাস্ত করতে পরামর্শ দিই এবং মন্ত্রী মহোদয়ের সহযোগীতায় আরো অনুদান প্রদানের আশ্বস্ত করি।