সুনামগঞ্জে আদিবাসী নারী ও স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৫ পিএম, ১৫ আগস্ট,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৪২ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সুনামগঞ্জে এক আদিবাসী নারী ও স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ধর্ষকরা হলো- জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রাজাই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাশিদ মিয়া (৪০) ও ছাতক উপজেলার কালারুখা ইউনিয়নের বোবরাপুর গ্রামের আছমত আলীর ছেলে মাহমুদ আলী (৩৫)।
আজ রবিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাঘারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের ভারত সংলগ্ন রাজাই গ্রামের বাসিন্দা ২৫ বছরের এক আদিবাসী গৃহবধু নারী গত শনিবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে গ্রাম সংলগ্ন পাহাড়ী ছড়ায় গোসল করতে গেলে একই গ্রামের লম্পট রাশিদ মিয়া তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পাশের জঙ্গলের মাঝে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে এঘটনাটি থানায় জানালে রাত অনুমান সাড়ে ১১টায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে লম্পট রাশিদ মিয়াকে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এবং আজ রবিবার (১৫ আগষ্ট) সকাল ১০টায় ধর্ষিতা নারীকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য উদ্ধার করা হয়। লম্পট রাশিদ মিয়ার ২ স্ত্রী ও ৪ সন্তান রয়েছে।
অপরদিকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর সদরগড় গ্রামের স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রীকে তার নিজ বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে সিলেটের একটি আবাসিক হোটেলে আটক রেখে ধর্ষনের ঘটনায় লম্পট মাহমুদ আলীকে গ্রেফতার করেছে। সে র্দীঘদিন যাবত পলাতক ছিল। এর আগে এই ধর্ষনের ঘটনায় সহযোগীতা করার অপরাধে ওই স্কুল ছাত্রীর সৎ মা জুনু বেগমকে গ্রেফতার করে কারাঘারে পাঠিয়েছে পুলিশ। আর লম্পট মাহমুদ আলী জুনু বেগমের পরকিয়া প্রেমিক।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি শহিদুর রহমান ও তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।