কুষ্টিয়ায় তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীকে পূণরায় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৭ পিএম, ১৪ আগস্ট,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:০২ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীকে পূণরায় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্তের বাড়িতে অবস্থান নিলে কুমারখালী থানা পুলিশ তাকে বিচারের আশ্বাস দিয়ে শুক্রবার ঢাকার বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে ফিরোজ উজ জামান (৩৪)। তিনি ঢাকার বনানীতে আরশীনগর বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে সিভিল ইন্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত আছেন।
ভুক্তভোগী রোখসানা আখতার জানান, তিনি ছিলেন ফিরোজের তৃতীয় স্ত্রী। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের ২০ তারিখে কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ফিরোজের আচরণ পরিবর্তন হতে থাকে এবং খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার আরো দুটি স্ত্রী রয়েছে। যেকারণে মার্চ মাসের ২০ তারিখে উভয়ের সম্মতিতে ৪ লাখ টাকার দেনমোহর, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা গ্রহণের মাধ্যমে ডিভোর্স হয়ে যায়।
কিন্তু ডিভোর্সের ২ দিনের মাথায় তার ঢাকার মুগদা মান্ডা এলাকার বাসায় ফিরোজ চলে আসে এবং পূণরায় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক সৃষ্টি করে। যেকারণে তিনি মার্চের ২৪ তারিখে ঢাকার মুগদা থানায় ফিরোজের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলা করার পর থেকেই নানাভাবে ফিরোজ তাকে মামলা তুলে নিয়ে পূণরায় সংসার করার জন্য অনুরোধ করতে থাকে।
একপর্যায়ে তারা স্বামী স্ত্রী হিসাবে ঢাকায় অবস্থান করাকালীন হঠাৎ ই ৫ আগষ্ট ফিরোজ তার বোনের অসুস্থতার কথা বলে কুমারখালী গ্রামের বাড়িতে চলে আসে এবং তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ফিরোজ তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে রেখে সংসার করছে। যেকারণে তিনি বৃহস্পতিবার ফিরোজের গ্রামের বাড়িতে অবস্থান নিলে কুমারখালী থানা পুলিশ তাকে স্থানীয় মহিলা মেম্বারের বাড়িতে রাতে রেখে শুক্রবার বিচারের আশ্বাস দিয়ে ঢাকাতে পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে ফিরোজের বড় ভাই ফারুখ বলেন, তার ভাই তিনটি বিয়ে করেছে কোনটাই পারিবারিক ভাবে দেয়া হয়নি। সে ইচ্ছা মতো বিয়ে করে এবং ছেড়ে দেয় যেকারণে তার ভাইয়ের বিষয়ে কথা বলতে তিনি অসম্মতি জানান।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, যেহেতু ভুক্তভোগী তার স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে সেহেতু কোনভাবেই বাদী ও আসামি একই বাড়িতে অবস্থান করতে পারেননা। যেকারণে বাদীকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে এবং ঢাকা মুগদা থানার নির্দেশনা পেলে ফিরোজের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।