বেপরোয়া সরকার মানুষের যৌক্তিক দাবিগুলোও শুনতে নারাজ-মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০২ এএম, ৯ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ০৯:৫১ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সরকার এতোটাই বেপরোয়া ও অসহিষ্ণু যে, সাধারণ শ্রেণি-পেশার মানুষের যৌক্তিক দাবিগুলোও শুনতে নারাজ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের চলতি দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
৭ ডিসেম্বর ভোররাতে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন দাবিতে অবস্থান ও অনশনরত শিক্ষক, গার্মেন্ট কর্মী, শিক্ষানবিশ আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ঘুমন্ত মানুষের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মম ও পৈশাচিক পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব ।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ভোররাতে অতর্কিত বর্বরোচিত হামলা চালায়। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে পুলিশ অতর্কিতে গরম পানি, লাঠিচার্জ ও বুটের লাথিতে ঘুমন্ত অবস্থান ও অনশনরত মানুষকে রক্তাক্ত করেছে, এই কাপুরুষোচিত হামলা থেকে নারী শ্রমিকরাও রক্ষা পায়নি। সরকার এতোটাই বেপরোয়া ও অসহিষ্ণু যে, সাধারণ শ্রেণি-পেশার মানুষের যৌক্তিক দাবিগুলোও শুনতে নারাজ। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সীমিত আকারে মতপ্রকাশের সুযোগটিও সরকার ছিনিয়ে নিল পুলিশকে ব্যবহার করে। মহামারি করোনার প্রবল ঝুঁকি সত্ত্বেও শিক্ষক, পোশাক শ্রমিক, শিক্ষানবিশ আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করা তো দূরে থাক, উল্টো তাদের রক্তাক্ত করা হলো। পুলিশ বাহিনীকে দলীয় ক্যাডারের মতো ব্যবহার করে জনগণের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে এবং দেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে সরকার। গণবিচ্ছিন্ন, কর্তৃত্ববাদী অনৈতিক সরকার কখনো জনগণের কোনো দাবিকেই তোয়াক্কা করে নাÑ বারবার সরকার এটাই প্রমাণ করলো।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অবিলম্বে তাজরিন গার্মেন্টে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, শিক্ষক ও আইনজীবীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়া এবং ঢাকায় অবাধে সুষ্ঠু রাজনীতির অধিকার চর্চায় ও দাবি-দাওয়া উত্থাপনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে অবাধ মতপ্রকাশের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।