হাজার টাকায় ঘরে গিয়ে টিকা দেন চসিকের স্বাস্থ্যকর্মী, আটক- ২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫০ পিএম, ১০ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫৭ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২৪
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের বেআইনিভাবে বিশেষ টোকেনে গণটিকা কার্যক্রমের পর এবার তাদের এক স্বাস্থ্যকর্মী জড়িয়েছে টিকা নিয়ে আরেক অনিয়মে। মানুষ যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন ধরেও টিকা পাচ্ছে না সেখানে জামাই আদরে ঘরে গিয়েই টিকা পুশ করেছেন চসিকের এক কর্মী। বিনিময়ে টিকা প্রতি নিয়েছেন এক হাজার টাকা! তবে পুলিশ ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তৎপরতায় শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। এ পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত চারজনের দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শনিবার এমডি হাসান' নামে নিজ ফেসবুক হ্যান্ডেলে টিকা গ্রহণের ছবি পোস্ট করে হাসান নামে একজন লেখেন ‘ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু মো. মোবারক আলীকে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানে সহায়তা করার জন্য। আলহামদুল্লিাহ মর্ডানার ১ম ডোজ সম্পন্ন। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে রাতেই হাসানকে আটক করা হয়। এরপর সকালে টিকা সরবরাহে সহযোগিতাকারী আলীকেও আটক করা হয়।
খুলশী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান জানান, ঘরে বসে টিকাদানের ঘটনায় চসিকের কাপাসগোলা ইপিআই জোনের মেডিকেল অফিসার ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এতে ১ নম্বর আসামি করা হয়, টিকাগ্রহণকারী হাসানকে। যথাক্রমে আসামি করা হয় টিকাদানে সহায়তাকারী মো. আলী, স্বাস্থ্যকর্মী বিষু দে, ও আরেক টিকাগ্রহণকারী সাজ্জাদ। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৮০/৪০৬/৪২০/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এদের মধ্যে হাসান ও আলী গ্রেপ্তার হলেও এখনো পলাতক রয়েছে বিষু ও সাজ্জাদ। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে টিকাগ্রহণকারী হাসান জানিয়েছেন, তার ব্যাংকার বন্ধু আলী এই টিকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তিনি চসিকের মোস্তাফা হাকিম কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী বিষু দে’র কাছ থেকে প্রতি ডোজ এক হাজার টাকার বিনিময়ে ঘরে বসে নেন। তিনিও ছাড়া একই কায়দায় টিকা নেন তাদের আরেক বন্ধু সাজ্জাদও। যদিও সরকারি বিধি অনুযায়ী নির্দিষ্ট টিকা কেন্দ্রের বাইরে গিয়ে বাসাবাড়ি কিংবা অন্য কোন স্থানে টিকা প্রধান সম্পূর্ণ অবৈধ।
ওসি শাহীনুজ্জামান বলেন, মামলার চার আসামির মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক দুইজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। অন্যদিকে চসিকের স্বাস্থ্যকর্মীর এমন কর্মকাণ্ডের পর সংস্থাটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরীর ফোন বন্ধ রাখায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।