সরিষাবাড়ীতে খেলা দেখতে গিয়ে চুরির অপবাদে গাছে বেধে নির্যাতনের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৩ পিএম, ২ আগস্ট,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৪৩ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে হা-ডু-ডু খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে চুরির চেষ্টার অপবাদ দিয়ে কৃষক জালেক শেখ (৫০) নামের এক ব্যাক্তিকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রবিবার (১ আগস্ট) বিকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের পারপাড়া গ্রামের আজিজুল হকের দোকানের পার্শ্বে নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে।
জালেক শেখ উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের পারপাড়া গ্রামের মৃত পাগু শেখ এর পুত্র বলে জানাগেছে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের পারপাড়া গ্রামের জালেক শেখ গত রোববার বিকেলে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিন পার্শ্বে হা-ডু-ডু খেলা দেখে বাড়ী ফিরছিল। পথিমধ্যে আজিজুল হকের দোকানের পাশদিয়ে যাওয়ার সময় একই গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের পুত্র সুজা মিয়া ও তার লোকজন জালেক শেখকে চুরির জন্য তাদের বাড়ীতে উকি-ঝুকি দেয়ার অপবাদ দিয়ে গাছের সাথে বেধে মারধর করে। এ সময় তার চিৎকারে কেউই এগিয়ে আসার সাহস করেনি।
এ ঘটনায় স্থানীয় মাতাব্বর আনোয়ার হোসেন খোকা’র সভাপতিত্বে কবিরাজ বাড়ীর শাহজাহান আলী, হাফিজুর রহমানসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা গ্রাম্য সালীশের সময় নির্যাতনের শিকার জালেক শেখ এর বড় ভাই আব্দুল খালেক শেখ ছোট ভাইকে চড় থাপ্পড় দিয়ে রাত ১২টার দিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় বলে সালীশে উপস্থিত থাকা আব্দুল মালেক ও তালেব শেখ গণমাধ্যমকে জানান।
নির্যাতনের শিকার জালেক শেখ এর বড় ভাই আব্দুল খালেক শেখ জানান, আমার ছোট ভাই জালেক কে চড় থাপ্পড় দিয়ে গ্রাম্য সালীশের মাধ্যমে নিয়ে আইছি।
প্রতিপক্ষ সুজা মিয়া জানান, আমার বাড়ীতে জালেক মিয়া বিভিন্ন সময় চুরির চেষ্টা করায় আমরা তাকে ধরে গাছে বেধে এলাকার লোকজনের কাছে বিচার জানাইছিলাম। গ্রাম্য সালীশে জালেক এর বড় ভাই খালেক চড় থাপ্পড় দিয়ে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ভাটারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল বলেন, বিষয়টি ন্যাক্কারজনক দাবী করে তিনি বলেন রোববার রাতে ১২টার দিকে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা গ্রাম্যসালীশে সমঝোতা করে দিয়েছেন।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর রকিবুল হক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববার রাতে পুলিশ পঠিয়েছিলাম। পুলিশ যাওয়ার পূবেই ঘটনাটির মিমাংসা করেছে স্থানীয়রা।