কুষ্টিয়া হাসপাতালে ৩০ টির মধ্যে ১২টি হাই ফো নাজাল ক্যানুলা বিকল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৭ পিএম, ১ আগস্ট,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩৪ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৩০ টি হাই ফো নাজাল ক্যানুলার মধ্যে ১২টি হাই ফো নাজাল ক্যানুলা বিকল হয়ে গেছে। গত কয়েক দিন ধরে এগুলো নষ্ট হয়ে পড়ে থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এগুলো মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে হাই ফো নাজাল ক্যানুলা বিকল হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভোগান্তি পৌঁহাতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে সরকারিভাবে হাই ফো নাজাল ক্যানুলার সংখ্যা ছিল ১৪টি। হাসপাতালে রোগী ভর্তির চাপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় এই যন্ত্রের প্রয়োজন আরও বেড়ে যায়। এ অবস্থায় জেলার বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সহৃদয়বান ব্যক্তি স্বপ্রণোদিত হয়ে আরও ২০টি যন্ত্র বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে কর্তৃপকে অনুদান প্রদান করেন। সব মিলিয়ে হাই ফো নাজাল ক্যানুলার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৩৪ টি। এর মধ্যে ৩০টি যন্ত্র রোগীদের জন্য ব্যবহার হলেও বাকি চারটি স্থাপন করা হয়নি।
হাসপাতাল কর্তৃপরে সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাই ফো নাজাল ক্যানুলাগুলো ব্যবহার করতে গিয়ে গত কয়েক দিনে অন্তত ১২টি নষ্ট হয়ে যায়। এদিকে করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালে গত কিছুদিন ধরে রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যাও।
শনিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত এই হাসপাতালে ১৭৭ জন করোনা পজিটিভ ও ৭৭ জন করোনার উপসর্গ মিলিয়ে মোট রোগীর সংখ্যা ছিল ২২৪ জন। এ অবস্থায় ১২ টি বিকল হয়ে পড়ায় বর্তমানে হাসপাতালে হাই ফো নাজাল ক্যানুলা সচল রয়েছে ১৮টি।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম বলেন, হাসপাতালের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই বিকল হয়ে পড়া হাই ফো নাজাল ক্যানুলাগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নষ্ট হওয়া যন্ত্রগুলোর মধ্যে সরকারিভাবে পাওয়া মাত্র তিনটি। বাকিগুলো সব বেসরকারি উদ্যোগে পাওয়া।
সরকারিগুলো মেরামতের জন্য ঢাকাতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বাকিগুলোর মেরামতের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। কেননা এগুলো মেরামত করতে হলে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তবে মেরামতের বিষয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসিমুল বারী বাপ্পি সহযোগিতা করে আসছেন।
জানতে চাওয়া হলে ডা: নাসিমুল বারী বাপ্পি জানান, ইতোমধ্যেই বিকল হয়ে যাওয়া যন্ত্রগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকজন টেকনিশিয়ানকে যন্ত্রগুলো দেখানো হয়েছে। যে সমস্ত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান হাসপাতালকে এই যন্ত্রগুলো প্রদান করেছিল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করার জন্য তাঁদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এরই মধ্যে একজন সহৃদয়বান ব্যক্তি এগুলো মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ অনুদান দিতে রাজি হয়েছেন বলেও জানান তিনি। তবে এগুলো কবে নাগাদ সচল করা সম্ভব হবে তা নির্দিষ্ট করে কেউই বলতে পারছেন না।