রাজশাহীতে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ, ৭ দিন পর উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৯ এএম, ৭ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ০৫:৩৬ এএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
রাজশাহীর পুঠিয়ায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সাতদিন পর ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। থানা পুলিশ এই ঘটনার সহযোগী চারজনকে আটক করতে পারলেও মূল আসামি পলাতক আছে। গত ৩ ডিসেম্বর উপজেলার কাঠালবাড়িয়া গ্রামের ফায়ার সার্ভিসের সামনের বাড়ি থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। আটক আসামিরা হচ্ছেন কাঠালবাড়িয়া গ্রামের দুলু (৫২), তার স্ত্রী শহিদা বেগম (৪৮), প্রতিবেশী সুজন আলী (৪০) ও গন্ডগোহালী-হলহোলিয়া গ্রামের আলতাব হোসেনের স্ত্রী হাওয়া বেগম (৫০)।
থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, নবম শ্রেণির ছাত্রী ও গত ২৬ নভেম্বর বিকালে বাড়ির পাশে রাস্তায় ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় গন্ডগোহালী-হলহোলিয়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২০) ও তার কয়েকজন সঙ্গী জোরপূর্বক ওই স্কুলছাত্রীকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। এক পর্যায়ে থানা পুলিশের সহযোগিতায় অপহরণের সাতদিন পর ৩ ডিসেম্বর পুঠিয়া ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে দুলুর বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ওইদিন রাতে আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নামে থানায় ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা করেন।
স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়েছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর পিতা থানায় অভিযোগের পর আমরা তাকে একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছি। আর এ ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে। প্রধান আসামিসহ বাকি দুজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।