শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলছে কাল, সিরাজগঞ্জে মহাসড়ক দিয়ে গাদাগাদি করে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৪ এএম, ১ আগস্ট,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৪৭ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
শিল্প কারখানা খোলার ঘোষণায় কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। সিরাজগঞ্জের সদরের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপার মহাসড়কের কড্ডার মোড় থেকে পণ্যবাহী ট্রাকে গাদাগাদি করে ঢাকার দিকে ছুটছে কর্মজীবী মানুষ। বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায় কর্মস্থলে ফিরতি মানুষের উপচে পড়া ভীড়। কোথাও মানা হচ্ছে হয়নি নূন্যতম স্বাস্থ্যবিধি। ঢাকা, গাজীপুর ও চন্দ্রার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রাক-পিকআপ।
আজ শনিবার এমন চিত্র দেখা যায় ঢাকামুখী পথে।
কড্ডার মোড় থেকে ঢাকাগামী গার্মেন্টসকর্মী মামুন, ছালাম, আতিকুলসহ কয়েকজন যাত্রী বলেন, কোরবানির ঈদে বাড়ি এসেছিলাম, রবিবার থেকে গার্মেন্টস খুলবে। কোনো বাস চলাচল না করায় বাধ্য হয়ে ট্রাকে করে ঢাকায় যাচ্ছি। সব রুটেই ভাড়া বেশি নিচ্ছে চালকেরা। কড্ডা থেকে ঢাকা যেতে ভাড়া নিচ্ছে ৭০০/১০০০ টাকা। এতে আমাদের ভোগান্তি। লোকাল রুটের ভাড়া নিচ্ছে ১০ টাকার ভাড়া ২০ নিচ্ছেন। পরিবহন যদি খোলা থাকতো তাহলে ভালো হতো। তাহলে এই ভোগান্তি টা হতো না। আমরা যারা ঈদে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলাম তাদেরকে চাকরি বাঁচানোর জন্য বাধ্য হয়েই যেতে হবে। যদি গণপরিবহন খোলা থাকতো তাহলে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ কর্মস্থলে যেতে পারতাম। এখন আমরা যারা ট্রাকে করে যাচ্ছি তারা কেউ কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেতে পারছি না এজন্য করোনার সংক্রমণেত হারটা কিন্তু বেড়ে যেতে পারে। এজন্য সরকারের উচিৎ ছিলো আগে গণপরিবহন খুলে দিয়ে গার্মেন্টসগুলো খোলার।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, আগামীকাল থেকে শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার ঘোষনা দেয়া হয়েছে তাই যে যেভাবে পারছে কর্মস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা করোনার কারনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যতটুকু সম্ভব বাধা দেয়ার চেষ্টা করছি।