কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধুর অবমাননা সহ্য করা হবে না-তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫২ এএম, ৬ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ০৭:১৭ পিএম, ৭ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নানা ইস্যু তৈরি করে একটি পক্ষ বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা ও সমাজে হানাহানি তৈরি করতে চায় জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আজ নানা প্রসঙ্গ টেনে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করার অপচেষ্টা হচ্ছে। আমাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কোনোভাবেই কোনও ইস্যুতে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা সহ্য করা হবে না।
আজ শনিবার (৫ই ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবকে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক বই বিতরণ করে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকরা দেশের মানুষকে পথ দেখায়। আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনে যেমন সাংবাদিকদের অন্যন্য ভূমিকা ছিল, ঠিক একইসঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামেও সাংবাদিকদের অনবদ্য ভূমিকা ছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার জন্য সাংবাদিকদের লেখনি, পত্রিকার সংবাদ মানুষের মনন তৈরি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যারা সমাজকে পিছিয়ে দিতে চায়, যারা মধ্যযুগের সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, তাদের যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের বিরুদ্ধেও আজ কলম নিয়ে সোচ্চার হতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত জাতিকে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা ছিলেন, যিনি মানুষকে দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন। এটি শুধু বাঙালির ক্ষেত্রে নয়, পুরো বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এমন খুব কম নেতা আছেন যারা মানুষকে এভাবে উদ্দীপ্ত করতে পেরেছেন নিজের প্রাণ উৎসর্গ করে দেয়ার জন্য। এজন্য বঙ্গবন্ধু একদিকে যেমন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, ঠিক একইভাবে বঙ্গবন্ধু বিশ্ব ইতিহাসে সেরা নেতাদের মধ্যে একজন।
প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে পাঠকের কোনও বিরোধ যাতে সৃষ্টি না হয়, সেটি নিরসন করার লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ৪৫ বছরের বেশি কেটে গেছে। আজ প্রেস কাউন্সিলের যেইটুকু ক্ষমতা আছে সেইটুকু ক্ষমতা আজকের প্রেক্ষাপটে খুব বেশি কার্যকর নয়। সেজন্য আমরা প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধনের পর্যায়ে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি আগামী সংসদ অধিবেশনে সেটি উপস্থাপনের জন্য। এ আইন পাস হলে প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা অনেক বাড়বে, এতে জনগণ এবং একইসঙ্গে সাংবাদিকরাও প্রেস কাউন্সিলের দ্বারস্থ হলে প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে পারবেন। সুতরাং প্রেস কাউন্সিল জনগণ, সাংবাদিক এবং সার্বিকভাবে রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য কার্যকরভাবে কাজ করতে পারবে।
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ও বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব এমএ মজিদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ ও বিএফইউজের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।