বগুড়ায় পকেটমারকে মারধর, মারা যাওয়ার গুজবে বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৮ পিএম, ২৬ জুলাই,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:১২ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়ায় জহুরুল নামের এক পকেট মারকে মারপিটের পরে হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় কয়েকজনের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে শহরের চেলোপাড়া এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে।
জানা যায়, একই এলাকার ওয়ার্ড বিএনপি ও ব্যবসায়ী নেতা বেলাল হোসেন নান্নুসহ কয়েকজনের বাড়িতে এই হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকজন পকেটমার গত কয়েকদিন আগে নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও চুড়িপট্টি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেন নান্নুর বাড়ির পার্শ্বের ফাঁকা জায়গায় ঝগড়া লাগে। এসময় পার্শ্বের মসজিদে নামাজ চলছিলো। নান্নু এসে তাদেরকে নামাজের সময় ঝগড়া করতে নিষেধ করায় কথা কাটাকাটি করে তারা চলে যায়।
এর কিছুক্ষন পর তারা পুনরায় ফিরে এসে নান্নুর সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় ও তাকে আঘাত করে। এঘটনার জের ধরে রবিবার দুপুরে পকেট মার জহুরুলকে পেয়ে নান্নুর পক্ষের লোকজন মারপিট করে। মারপিটে আহত জহুরুলকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালে জহুরুল মারা গেছে। এতে চেলোপাড়া সান্দার পোট্রির জহুরুলের অনুসারীরা উত্তেজিত হয়ে বিএনপি ও ব্যবসায়ী নেতা নান্নুর বাড়িসহ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
বিএনপি নেতার স্ত্রী তাবাছছুম ও ছেলে তাছিফ জানায়, জহুরুল পকেটমার মারা গেছে এই গুজব ছড়িয়ে সান্দার পোট্রির লোকজন এসে আমাদের বাড়ি, কালামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। এমনকি বাড়ির ভেতরেও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। হামলাকারিরা লুটপাটের জন্যই এই রকম ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও তারা জানান।
বগুড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্র দাস বিকেলে সাংবাদিকদের জানান, জহুরুল হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমি তার সঙ্গে কথা বলে এসেছি।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন আগে নান্নুর বাড়ির পার্শ্বেই একটি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরেই তারা মারপিটের পর বাড়িতে হামলা চালায়। কাউকে মারপিট করা বা কারো বাড়িতে হামলা করা ঠিক না। আমি এসব ঘটনার নিন্দা জানাই।
এসআই সোহেল জানান, একজনকে মারপিট ও প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আমরা এসেছি।