সালথায় দোকানীর করোনা উপসর্গে মৃত্যু, পরিবারের দাবি আঘাতে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১২ পিএম, ২৪ জুলাই,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৮ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের তুগুলদিয়া গ্রামের মুন্নু কারিগর (৫৫) নামের এক দোকানী করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরন করেছে।
পরিবারের দাবি সে আঘাতের কারনে মারা গেছে। মুন্নু কারিগর ওই গ্রামের আয়না কারিগরের ছেলে। সে পেশায় একজন কৃষক ও নিজের বাড়িতে দোকানঘর তুলে মুদি মালামাল বিক্রি করতেন।
প্রতিবেশীরা কয়েকজন জানান, মুন্নু কারিগর বেশকিছু দিন যাবৎ অসুস্থ্য ছিলেন, ঘরের বিছানায় শুয়ে থাকতেন ছেলেমেয়েরা দোকানের মালামাল বিক্রি করতো। গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, কাঁশি, ঠান্ডা, মাথা ব্যাথা ও হাঁপানিতেও ভুগছিলো সে। বাড়িতে থেকে চিকিৎসা চলছিলো তার।
গতকাল শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিকালে হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট বেশি হলে স্থানীয় এক পল্লীচিকিৎসকের কাছে নিয়ে দেখিয়ে ঔষধ আনা হয়। বাড়িতে আসলেই সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
মৃত্যু ব্যক্তির স্ত্রী আমেনা বেগমের অভিযোগ কয়েকদিন আগে প্রতিবেশী কয়েকজনের মাইরের আঘাতে সে বিছানায় কাতরাচ্ছিল। টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা দিতে পারছিলাম না। তার উপর হামলার সময় তাকে বুকে লাথি মেরেছিলো সেই আঘাতেই দম বন্ধ হয়ে সে মারা গেছে। তার করোনা ছিলো না।
আমেনা বেগম আরো জানান, গত ১৬ জুলাই তার স্বামী কে প্রতিবেশী জুয়েল মোল্লা ও তার ভাই মিন্টু মোল্লা পুকুরের ঘাটলা ভাঙ্গা নিয়ে প্রচুর মারধর করে বুকে লাথির আঘাত লাগে। সেই থেকে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। ভালো চিকিৎসা দিতে পারি নাই তাই আজ সে চলে গেল। কিছু লোক আমার স্বামীর করোনা হয়ছিলো বলে চালিয়ে দিতে চায় আসলে তার কোন করোনা হয়নি। এটা হত্যাকান্ড, আমি এই হত্যার বিচার চাই।
অপরদিকে অভিযুক্ত জুয়েল মোল্লা বলেন, ঘটনার দিন আমি ও আমার ভাই মিন্টু তাকে মারধর করি নাই। তার মেয়ের জামাইয়ের সাথে হাতাহাতি হয়েছিলো মাত্র সে ঠেকাতে গেলে তার ধাক্কা লাগে। কিন্তু আমরা তাকে মারধর করি নাই। আর আজ এতোদিন পর সে মারা গেল তার জন্য আমরা দায়ি হতে পারি না। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ব্যাপারে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ আসিকুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যু সঠিক কারন নির্ণয়ের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রীয়াধীন রয়েছে।