আদমদীঘিতে করোনায় মৃত লাশের দাফনে এভারেষ্ট ফাউন্ডেশন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২০ পিএম, ১৯ জুলাই,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৩৪ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করা মৃতদেহ দাফন ও নানামুখি কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বগুড়ার আদমদীঘির এভারেষ্ট ফাউন্ডেশন নামের একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
করোনায় মৃত্যু বরন করার পর অনেকের স্বজনরা লাশের পাশে আসছে না। ওই সব লাশের দাফন সহ সকল কাজ সম্পন্ন করছে এই সংগঠনটি। গভীর এই সংকটকালিন সময়ে ব্যতিক্রমি ও মানবিক কাজ করায় বেশ সুনাম কুড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এভারেষ্ট ফাউন্ডেশন। এছাড়াও অসহায় ও দরিদ্র যে সব ব্যক্তি করোনায় মারা যাচ্ছে তাদের দাফনের কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী দান করছে তারা।
জানা গেছে,২০১৯ সাল থেকে বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলায় বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে এভারেষ্ট ফাউন্ডেশন। উপজেলার সান্তাহার হার্ভে স্কুল সড়কের পাশে তাদের একটি কার্যালয় রয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণ সহ সচেতনামূলক বিভিন্ন কাজ করে আসছে মফস্বলের এই সংগঠনটি।
এছাড়াও উপজেলার সান্তাহার জংশন ষ্টেশন এলাকায় ছিন্নমূল শিশু ও নানা বয়সের প্রায় দুই হাজার ব্যক্তির মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন তাঁরা। প্রতি ঈদে সমাজের পিছিয়ে পড়া ব্যক্তিদের মাঝে তাঁরা ঈদের সামগ্রী, পোষাক বিতরণ করেন। গত এক বছর ধরে সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের লাশ দাফন বা সৎকারের প্রয়োজন হলে ছুটে যান। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৮ জনের লাশ দাফন সম্পন্ন করেছেন তাঁরা।
এই মহৎ কাজে অংশ গ্রহন করেছেন সংগঠনের আহবায়ক সাগর আহম্মদ, সদস্য জাকির হোসেন, আশিক, খালেদ সহ সংগঠনের অনেকেই। এসব কাজ করেছেন তাঁরা বিনা পয়সায়। এই কাজটি করতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবীদের অনেকেই পরিবারের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। তবু নানা কৌশলে তাঁরা যুক্ত থাকছেন।
এভারেষ্ট ফাউন্ডেশনের আহবায়ক সাগর আহম্মেদ বলেন, ছিন্নমূল ও সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর মধ্যে করোনাকালে মৃত ব্যক্তির মৃতদেহ দাফনের মতো কাজ করতে পেরে আমরা ধন্য। এছাড়াও ছিন্নমুল মানুষের জন্য সহায়তার তহবিল সংগ্রহ চলছে।
আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম খান রাজু বলেন, এভারেষ্ট ফাউন্ডেশন করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের দাফন করার মত কাজ করছে জেনে ভাল লাগলো। মফস্বল এলাকার অল্প বয়সের ছেলেরা এই ঝুঁকিপূর্ন কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমি তাঁদের সাফল্য কামনা করি।