রূপগঞ্জ ট্র্যাজেডি, মৃতের সংখ্যা নিয়ে সন্দিহান নাগরিক তদন্ত কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫০ পিএম, ১৭ জুলাই,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:২৫ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুডস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন নাগরিক তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
আজ শনিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানিয়েছে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, আমাদের দেশে অনেক অগ্নিকান্ত হয়। তদন্ত কমিটিও হয়। কিন্তু তদন্তের রিপোর্ট আর প্রকাশ করা হয় না। দায়িত্বের জায়গা থেকে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ১৯ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যে মৃতের সংখ্যা দেখানো হয়েছে তা নিয়ে আমরা সন্দিহান। ওপরের চারতলায় এখনো মানুষের হাড় পাওয়া যাচ্ছে। অগ্নিকান্ড ঘটেছে, কীভাবে ঘটেছে এর সব তথ্য নিয়ে ৩০ দিনের ভেতরে প্রতিবেদন তৈরি করবেন বলেও জানান তিনি। নাগরিক তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জের হাসেম ফুড লিমিটেডের ৬ তলা কারখানা ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক শ্রমিক। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৮টি ইউনিট টানা প্রায় ২৯ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং ৪৮ ঘন্টা লেগেছিলো পুরোপুরি আগুন নিভতে।
ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ূন কবীর বাদী হয়ে কারখানামালিক আবুল হাসেম, তাঁর চার ছেলে, প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাসেম ফুড কারখানার মালিক আবুল হাসেমসহ আটজনকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ১৪ জুলাই আদালতে হাজির করা হলে কারখানার মালিক আবুল হাসেমসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠান বিচারক। জামিন পান কারখানার মালিক আবুল হাসেমের দুই ছেলে।