কুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্রী ফাতেমার হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৩ পিএম, ১৭ জুলাই,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৪৮ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
কুষ্টিয়ায় ৯ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী উম্মে ফাতেমা (১৪) হত্যার ঘটনায় সুষ্টু তদন্ত ও বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহত ফাতেমার পরিবার।
গতকাল শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২ টায় মিরপুর প্রেসকাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত ফাতেমার পিতা সাইফুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি দ্রুত মামলার প্রধান আসামী আপন (১৮) কে গ্রেফতার করায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যে নৃশংশভাবে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে তা একজন মানুষের একার পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তাছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেম ঘটিত ঘটনা বলে উল্লেখ করা হলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয় খুনির পরিবারের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক ছিলো না।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত স্কুল ছাত্রী ফাতেমার পিতা সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন পুলিশ কোন অদৃশ্য কারণে এই মামলার মূল ঘটনাকে আড়াল করতে চাচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে নৃশংস এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষ থেকে ফাতেমার চাচা খন্দকার সোহেল রানা, খন্দকার মাহাফুজুর রহমান, মামা মতিয়ার হোসেন রাজু, দাদা মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত গত বুধবার (১৪ জুলাই) কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের ভাঙ্গা বটতলা এলাকার একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী উম্মে ফাতেমার মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই মিরপুর থানা পুলিশ মিরপুর পৌরসভার কুড়িপোল মধ্যপাড়া মহল্লার রং মিস্ত্রি মিলনের ছেলে আমলা সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী আপনকে (১৭) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে কলেজ ছাত্র আপন একাই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করে আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে।
এ ঘটনায় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে জানান, বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় প্রেমিকা স্কুল ছাত্রী ফাতেমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কলেজ ছাত্র প্রেমিক আপন একাই এই হত্যাকান্ড ঘটায়।
এদিকে নিহতের মরদেহের ময়না তদন্তকারী কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রুমন রহমান ও সুতপা রায় জানান, নিহত স্কুল ছাত্রী ফাতেমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনকি তার শরীর পোঁড়ানোও হয়েছে। গলায় রশি প্যাঁচানো ছিল।