দেশ মাতৃকার প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের নির্দেশ সেনাপ্রধানের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৫ এএম, ৪ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ০৮:০৪ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম, কর্তব্য ও নিষ্ঠার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশ মাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটসমূহকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
আজ বৃহস্পতিবার (৩রা ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাবাহিনীর প্রধান বগঠিত রামু সেনানিবাসে ৪টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
সেনাবাহিনী প্রধান পতাকা উত্তোলন প্যারেডে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। সেনাবাহিনী প্রধান তার দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যের শুরুতে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার একক নেতৃত্বে সূচিত হয়েছিল আমাদের মহান স্বাধীনতার সংগ্রাম। একই সাথে তিনি স্মরণ করেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের আত্মোৎসর্গকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। ১০ পদাতিক ডিভিশন রামু সেনানিবাসে উপস্থিত সেনা সদস্যদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পারিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল, দক্ষ ও যোগ্য সেনা সদস্য হিসেবে গড়ে ওঠার নির্দেশ প্রধান করেন জেনারেল আজিজ আহমেদ।
মনোজ্ঞ ও বর্ণিল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন : সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন তিনি। পরিশেষে সেনাবাহিনী প্রধান পতাকা উত্তোলন উপলক্ষে একটি সুশৃঙ্খল, মনোজ্ঞ ও বর্ণিল কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন পদবীর সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ১০ পদাতিক ডিভিশন ও কক্সবাজার অঞ্চলের ৪টি ইউনিটের নবযাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উন্নয়ন রূপকল্প ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর বাস্তবায়নের পথে আরেকটি মাইলফলক সংযোজিত হলো। এই ডিভিশন সকল প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বে সফলভাবে নিয়োজিত রয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত হলে ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার, কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল আহমদ তাবরেজ শামস চৌধুরী তাকে অভ্যর্থনা জানান। প্যারেড কমান্ডার মেজর রিফাত উদ্দিন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি সম্মিলিত চৌকস দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে জেনারেল সালাম প্রদান করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্টেশন সদর দফতর রামু স্ট্যাটিক সিগন্যাল কোম্পানি রামু, সিএমএইচ রামু এবং ১০ ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করেন সেনাবাহিনী প্রধান ও উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাবৃন্দ।