পীরগঞ্জে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচীর ভাতা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত কয়েক শ’ ভাতাভোগী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩২ পিএম, ১৪ জুলাই,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৪৪ পিএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
রংপুরের পীরগঞ্জে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচীর ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে। অনেকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করে ভাতা প্রাপ্ত হলেও অনেকের ভাগ্যে এখনও ভাতা মিলেনি। তাই উপজেলার কয়েকশত বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতা না পেয়ে চরম দুঃশ্চিন্তা গ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচীর আওতায় পীরগঞ্জের ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রায় ৪০ হাজার বয়ষ্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী এ ভাতা প্রাপ্তির আওতায় এসেছে। তালিকাভুক্ত বয়ষ্ক ও বিধবারা প্রতিমাসে ৫’শ টাকা এবং প্রতিবন্ধীরা প্রতি মাসে ৭’শ ৫০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। ইতিপূর্বে ৩ অথবা ৬ মাস পরপর ব্যাংকের মাধ্যমে ভাতা ভোগীদের মাঝে এ টাকা প্রদান করা হত।
এদিকে চলতি অর্থবছরে স্ব স্ব মোবাইল ফোন নম্বরে খোলা ‘নগদ’ হিসাবের মাধ্যমে তালিকা ভুক্তদের মাঝে টাকা প্রদান করা হচ্ছে। অথচ উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের কয়েকশত তালিকাভুক্ত ভাতাভোগী এখনো তাদের টাকা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান এর মতে তার ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত ৫৬ জন এখনও ভাতা না পাওয়ায় সমাজ সেবা কার্যালয়ে তাদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। একই প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন মিঠিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম ফারুক আহম্মেদ। তার ইউনিয়নে এখনও প্রায় ১শ’ জন ভাতা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত রয়েছে। একই পরিস্থিতি পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের সব ক’টিতেই।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানদের অনেকের ধারনা ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা তথ্য আপলোড করার সময় ভাতাভোগীদের অনেকের মোবাইল নম্বর ভুল দেয়ায় হয়তো অন্যের ফোনে টাকা চলে গেছে। আর যে কারনে প্রকৃত ভাতা ভোগীরা টাকা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা মোবাইল নম্বর ভুল করে দেয়ায় অন্যের মোবাইলে টাকা চলে গেছে। আমরা ইতিমধ্যেই অনেকের টাকা ফেরত এনেছি। সে সঙ্গে আমার কাছে আসা অভিযোগগুলো সমাধানে চেষ্টা চালাচ্ছি।