নারায়নগঞ্জের অগ্নিকান্ডে চরফ্যাশনের তিন কিশোর শ্রমিক নিখোঁজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩২ পিএম, ১১ জুলাই,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:১৪ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান সুজ কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন ভোলার চরফ্যাশনে তিন কিশোর শ্রমিক। যাদের সন্ধান গত ৪ দিনেও মেলেনি। তবে এ তিনজনই ঘটনার দিন কারখানার চতুর্থতলায় কাজ করছিলেন বলে তাদের পরিবার নিশ্চিত করেছেন।
এই অগ্নিকান্ডে পর থেকে তাদেরকে পাওয়া যাচ্ছেনা। সেদিন তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তাও জানেনা নিখোঁজদের স্বজনেরা। তারা বেঁচে আছেন কিনা তাও জানা নেই চরফ্যাশন উপজেলা প্রশাসনের। তবে উপজেলা প্রশাসন বিষয়টির সার্বিক খোজ-খবর নিচ্ছে।
চরফ্যাসনে নিখোঁজ তিন কিশোকর শ্রমিক হলেন, চরফ্যাসন উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের আমিনাবাদ গ্রামের ফজলুর ছেলে হাসনাইন (১২) এবং একই বাড়ির কবিরের ছেলে রাকিব (২৮) এবং এওয়াজপুরর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের কারিকর কান্দির এলাকার আ: মান্নানের ছেলে নোমান।
এরমধ্যে হাসনাইন এবং রাকিব সেমাই প্যাকেটজাত করনের কাজ করতো। নিখোঁজ তিন জনের মধ্যে দুই জন নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।
আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আল এমরান প্রিন্স জানান, রাকিব ও হাসনাইন নিহত হয়েছে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা তখন (দূর্ঘটনার দিন) কারখানার চতুর্থতলায় কাজ করছিলেন।
এদিকে নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ছেলের কথা বার বার মনে করে কান্না ভেঙ্গে পরছেন স্বজনরা। অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর থেকে ওই সব পরিবারে যেন চলছে শোকের মাতম। কেউ সন্তান কেউ বাবা হারিয়েছেন। কারখানায় কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ শ্রমিকদের দরিদ্র পরিবারগুলো যেন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
নিখোঁজ হাসনাইনের বাবা ফজলু জানান, তার ছেলে (হাসনাইন) কারখানায় কাজ করতো। কারিগর রাকিবের সহকারি হিসাবে ওই কারখানার চতুর্থ তলায় কাজ করতো। দূর্ঘটনার দিনও তারা কারখানায় অবস্থান করেছিলো।
জানতে চাইলে চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা তিন জনের নাম-ঠিকানা পেয়েছি, তারা সবাই চরফ্যাসন উপজেলার বাসিন্দা এবং দূর্ঘটনা কবলিত কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তবে তাদের এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আমরা ঢাকায় সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করছি।