সুনামগঞ্জে করোনায় ১২দিনে ৫ জনের মৃত্যু:পৌছেছে তৃতীয় ধাপের ভ্যাকসিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৪ পিএম, ১১ জুলাই,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৪৮ এএম, ৯ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
সুনামগঞ্জে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১২দিনে ৪ নারীসহ মোট ৫ জনের মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আজ রবিবার সকাল ৮টায় তৃতীয় ধাপে সিনোফার্মার ৩৮হাজার ৪শত ডোজ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন এসে পৌছেছে। সুনামগঞ্জ ইপিআই ভবনে ৪৮টি কার্টনের মাধ্যমে এসব ভ্যাকসিন আসে। ভ্যাকসিন কো-অর্ডিনেটর সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট কর্মকর্তা এটিএম আব্দুল্লাহ চৌধুরীর কাছ থেকে সিভিল সার্জন ডাঃ শামসু উদ্দিন করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। পরে ভ্যাকসিনগুলো ইপিআই ভবনের বিশেষায়িত ফ্রিজার কক্ষে সংরক্ষণ করা। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে- গত শনিবার (১০ জুলাই) সকাল ১১টায় জেলার দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের রাশেদ মিয়ার স্ত্রী খোজেদা বেগম (৭০) শ্বাসকষ্ট ও জ¦র নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা পরিক্ষা করলে তার পজিটিভ আসে এবং ওইদিন দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃদ্ধ খোজেদা বেগমের মৃত হয়।
এরআগে গত মঙ্গলরার (৬ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার পৌরশহরের ৯নং ওয়ার্ডের যাত্রাপাশা এলাকার সুশীল গোপের স্ত্রী নির্মলা রানী গোপ (৭০) করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরণ করেন। পরে ওই এলাকাটি কঠোর লকডাউন করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও গত শুক্রবার (২ জুলাই) রাত ১২টায় উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়ন জামালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি খসরু মিয়া (৪৭) কারোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে ৯দিন যাবত সিলেট মাউন্ট এডোরা বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন খসরু মিয়া। তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
গত শনিবার (৩ জুলাই) সকাল ১০টায় জেলার ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধর্মপাশা বন্দেরবাড়ি গ্রামের কৃষক শওকত আলীর স্ত্রী দুলেনা আক্তার (৫২) সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখাতে আসে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই নারীর পরিক্ষা করলে করোনা পজিটিভ আসে। তাই হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়। কিন্তু ওইদিন সকাল ১১টায় দুলেনা বেগমের মৃত্যু হয়।
এছাড়া গত সোমবার (২৮ জুন) সকাল ১১টায় জেলার তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কামারকান্দি গ্রামের মোছাব্বির মিয়ার স্ত্রী সখিনা বেগম (৫৫) কে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সখিনা বেগমের নমুনা পরিক্ষার করার পর করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরদিন মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিকেলে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সখিনা বেগমের পরিবারের লোকজন সুনামগঞ্জ না গিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যায়। এরপর সন্ধ্যায় সখিনা বেগমের মৃত্যু হয়।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ শামস উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন- তৃতীয় বারের মতো সুনামগঞ্জে ৩৮হাজার ৪শত ভ্যাকসিন এসে পৌছেছে। ভ্যাসসিন গুলো জেলার ১০টি উপজেলার দেওয়া হবে। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের সকল নিয়ম মেনে আমরা আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।