আবাসিক হোটেলে কিশোরী ধর্ষণ, গ্রেফতার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৮ পিএম, ২৮ জুন,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৫৯ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২৪
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভার রওনক আবাসিক হোটেলে কথিত প্রেমিক মো.শরীফুল ইসলাম নূরের হাতে কিশোরী (১৬) ধর্ষিত হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে প্রেমিক ও হোটেল ম্যানেজারসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গতকাল (২৭ জুন) রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামী করে সোনাইমুড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এর আগে একই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় সোনাইমুড়ীর একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভুক্তভোগী কিশোরীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, চাটখিল উপজেলার ৫নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়ার রমজান আলী মিজি বাড়ির আলী আকবরের ছেলে মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম নূর (২৬) ও সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের ভানুয়াই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে হোটেল ম্যানেজার ও শরীফের বন্ধু দীন মোহাম্মদ জনি (২৮)।
মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম কিশোরী (১৬) নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। কথিত প্রেমিক মো.শরিফুল ইসলাম নূর কিছু দিন যাবত ওই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি ভিকটিম তার পরিবারের সদস্যদের জানালে পরিবারের লোকজন আসামীকে সতর্ক করে দেয়। ভিকটিম গতকাল রবিবার সকালে স্কুলে এসে এসাইনমেন্ট জমা দিয়ে বাড়ী ফেরার পথে আসামী শরিফ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনেরর সহযোাগীতায় জোরপূর্বক অপহরণ করে সোনাইমুড়ী থানাধীন রওনক আবাসিক হোটেলে নিয়া আসে। আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার ২নং আসামী দ্বীন মোহাম্মদ জনির সহায়তায় হোটেলের ৫ম তলার ৫০৬ নম্বর কক্ষের ভিতরে নিয়ে কিশোরিকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে ভিকটিমের প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হতে থাকলে হোটেল ম্যানেজার দ্বীন মোহাম্মদ ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের সহযোগীতায় শরীফ সোনাইমুড়ীর আল খিদমাহ হসপিটালে ভর্তি করে। ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন ঘটনার বিষয়ে জানতে পেয়ে আল খিদমাহ হসপিটালে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত আসামীরা কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। ভিকটিম বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পুলিশ কতিথ প্রেমিক ও হোটেল ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের ওই মালায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।